মাগুরার জাপা নেতা ব্যাংকার বিয়েপাগল মিসকাতের বিরুদ্ধে পঞ্চম স্ত্রীর ডলি আদালতে পর পর দুটি মামলা দিয়েছে।মামলা এফসি ১৬২/২৪,যৌতুক মামলা নং ১৪৪৫/ ২৪, বিয়ে করা তার নেশা।সম্প্রতি প্রতিবছর তিনি একটি বিয়ে করেন।কিন্তু সংসার করেন না কারো সাথে।বিয়ের কিছুদিন পরেই ডিভোর্স দিয়ে দেন স্ত্রীদের।ফলে প্রথম বউ ছাড়া আর কেহ নেই তার সংশারে।এবার পঞ্চম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। অনুসন্ধানে দেখা যায় মিসকাত মাগুরা সদরের সংকোচখালি গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র।পেশায় একজন ব্যাংকার।সে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে ঢাকায়,ধানমন্ডি ব্রাঞ্চে ম্যানেজার অপারেশন পোস্টে চাকরি করে । রাজনৈতিকভাবে তিনি জাতীয় পার্টি করেন মাগুরা ২ আসন থেকে তিনি নির্বাচনও করেছেন। অর্থনৈতিক সচ্ছল এই মিশকাতুর রহমান অতি সম্প্রতি বছরগুলোতে প্রতিবছরই তিনি একটি করে বিয়ে করেন।দেখা গেছে ২০২১ সালে একটি, ২০২২ সালে একটি,২০২৩ সালে একটি এবং ২০২৪ সালের একটি বিয়ে করেছেন।তবে এই সকল স্ত্রীকেই তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন। ২০২২ সালে নড়াইল সদরের মাগুরা গ্রামের মৌসুমীকে বিয়ে করে।তাকেও মিশকাত ডিভোর্স দেয়। ২০২৩ সালে মাগুরার মহম্মাদপুরের জোকা গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের মেয়ে শামিমা ইসলাম সীমাকে বিয়ে করে। পরে এসে মামলা করলে মোটা অংকের উৎকোষের মাধ্যমে সে যাত্রায় মিশকাত রক্ষা পায়। ২০২৪ সালে ৭ জুন তিনি পঞ্চম বিয়ে করেন মাগুরা সদরের বড়গড়ি গ্রামের মৃত গফুর বিশ্বাসের কন্যা মোছাঃ নাসরিন আক্তার ডলিকে।বিয়ের কয়দিন পর থেকেই পূর্বের স্ত্রীদের ন্যায় ডলির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ৫ম স্ত্রী ডলি জানায় আমি চেষ্টা করেছি তার সাথে চুক্তি অনুসারে মিসকাতকে আমার বাড়িতে রাখার এবং সংসার খরচ দেওয়ার জন্য। কিন্তু সে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে এবং খরচ দেওয়া বন্ধ করে। ফলে আমি বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি খোরপোষ মামলা এবং অপরটির যৌতুকের মামলা করেছি। মামলা দুইটি চলমান। সে আরো জানায় মিশকাত আমার সাথে প্রতারণা করেছে। বিয়ের সময় বলেছে তার কোন বউ নেই। পরে জানলাম সে একে একে পাঁচটি বিয়ে করেছে। প্রথম বউ ছাড়া সকলকেই সে ডিভোর্স দিয়েছে। আমি এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।একই সাথে আমার কাবিনের ১০ লক্ষ টাকা,খোরপোষের টাকা ও বিয়ের সময় দেওয়া যৌতুকের টাকা পেতে চাই।