কক্সবাজার শহরের চিহ্নিত কিছু স্পট আছে যে গুলোতে মানুষ দিন দুপুরেও নিরাপদ নয়, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন যদি স্বদিচ্ছা দেখায় এ গুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন শহরের বাসিন্দারা । শহরের আমগাছ তলা( টার্মিনালের পশ্চিম পাশে), উত্তরণ আবাসিক এলাকা মুখ, বিকাশ বিল্ডিং মোড়, ডিসি পাহাড়, জাম্বুর মোড়, কবিতা চত্বর, সীগাল পয়েন্ট, কটেজ জোন, হাসপাতাল এলাকা, শিক্ষা অফিস রোড়, গোলদিঘীর পাড়, বৈদ্যরঘোনা দশতলা বিল্ডিং মোড়, বৌদ্ধ মন্দির মোড়, তারাবনিয়ার ছড়া, খুরুস্কুল রোড় সহ চিহ্নিত এলাকায় কিশোর গ্যাং ও চিহ্নিত ছিনতাইকারী সহ সকল মাদক সেবীদের বিরোদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আইনের আওতায় আনতে পারলে জনজীবন সহজ হবে । উক্ত এলাকা গুলোতে যেভাবে গড়ে উঠেছে মাদকের আকড়া ঠিক তেমনি মাদকের ছোবলে পড়ে তরুণ সমাজ জড়িত হচ্ছে সকল অনৈতিক কর্মকান্ডে । সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছিনতাই গুলো বিশ্লেষন করলে বুঝা যাবে এই ছিনতাইকারী গুলো কতটুকু বেপরোয়া ও বিপদ জনক হয়ে উঠেছে, এরা দ্রুত ছিনতাই করে জনবহুল এলাকা গুলোতে নিমিষেই হারিয়ে যাচ্ছে । এদের বিরোদ্ধে প্রশাসনের এই মুহুর্তে উচিত হবে প্রত্যেকটা এলাকায় এলাকায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য সমাজের সকল প্রতিনিধি দের নিয়ে আইন শৃংখলা রক্ষায় সভা সমাবেশ করা । এই সমস্ত এলাকায় বসবাস কারী সমাজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের চলাচল নিয়ে সব সময় চিন্তিত থাকেন বলে জানান। ইতিমধ্যে পর্যটন মৌসুম চলমান এ মুহুর্তে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের ক্ষতির ব্যবসায়ী মুখে পড়বে না। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন একদিনের অপারেশনে ১২ ছিনতাই কারী গ্রেপ্তার হওয়ায় সমাজের মানুষ আশার আলো দেখা শুরু করেছে । এই সুযোগ প্রশাসন নিতে পারলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি হবে এবং পর্যটন নগরী হিসেবে বিশ্বের কাছে কক্সবাজারের সুনাম বৃদ্ধি পাবে ।