রবিবার (১৬ মার্চ) হেল্পলাইন কমিউনিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হেল্পলাইন কমিউনিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাইজিদ আহমাদ ফারদিন, ফারিয়া’স মেকওভার স্টুডিও এন্ড মিরুর স্কিন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফারিয়া তাসনিম বর্ষা, বিশিষ্ট সমাজসেবী তাহমিনা উদ্দিন,
হেল্পলাইন কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি আবু বকর মোহাম্মদ আইমান, মাওলানা মাসউদুর রহমান, দেলোয়ার হোসাইন মাহদী, এইচ টি নিজাম, মোহাম্মদ পারভেজ, নারী সমাজের প্রতিনিধি আফরোজা খানম প্রমুখ।
এসময় উক্ত সংগঠনের সভাপতি আবু বকর মোহাম্মদ আইমান বলেন, “মানবতার কল্যানে আমাদের পথচলা” এই স্লোগানকে সামনে রেখে হেল্পলাইন কমিটি বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মানবসেবামূলক অনেক কার্যক্রম করেছি আরও করবো ইনশাআল্লাহ।
বাইজিদ আহমাদ ফারদিন, মোজাহিদ আরাবি, বিভাগীয় সমাজকর্মী তাহমিনা উদ্দিন ও ফারিয়া তাসনীন বর্ষা এর যৌথ উদ্যোগে ১১/০১/২৫ থেকে হেল্পলাইন কমিউনিটি বাংলাদেশ সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে।
উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাইজিদ আহমাদ ফারদিন বলেন ২৪শে জানুয়ারি প্রথম ১৫০+ পথশিশু ও অসহায় মানুষদের জন্য খাবারের ক্যাম্পেইন করি।
২৫ শে জানুয়ারি সভাপতি আবু বকর মুহাম্মদ আইমান ও সাধারণ সম্পাদক মুত্তাকিন রহমান কে দিয়ে ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ১৬ই ফেব্রুয়ারী কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব ২০২৫ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফ্রী ব্লাড ক্যাম্পেইন করি যা ছিলো দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ক্যাম্পেইন আমাদের ৩য় ক্যাম্পেইন, যা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি সফল করতে সংগঠনের সকল সদস্যগণ সহ অনেক ফটোগ্রাফার, ব্যবসায়ী ও ফারিয়া’স মেকওভার ষ্টুডিও এন্ড মিরর স্কিন নামের একটি প্রতিষ্ঠানও আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, এই রমজানে আমরা ২০০+ এতিম বাচ্চাদের ও অসহায় মানুষের ইফতার বিতরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যা সফল হবার আশা রাখতেছি।
হেল্পলাইন কমিউনিটি বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোজাহিদ আরাবি বলেন একটা সময় ছিল যখন সামাজিক সংগঠনগুলো শুধু শহরকেন্দ্রিক ছিল। এখন সে সময়টা বড্ড সেকেলে হয়ে গেছে। এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অসংখ্য সামাজিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। সমাজের নানা সংকটে সামাজিক সংগঠনগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে। এইসব সংগঠন থেকে বহু অসহায় মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এসব সংগঠনের সহযোগিতায় কখনো গৃহহীনরা পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই কখনো অনাহারি পাচ্ছে পর্যাপ্ত খাবার। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পাচ্ছে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ। একটি সমাজে সামাজিক সংগঠন থাকা অনিবার্য। করোনাকালে এই কথাটি সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই সামাজিক সংগঠনগুলো। একটি সমাজে সামাজিক সংগঠনের কতটা গুরুত্বপূর্ণ, হেল্পলাইন কমিউনিটি বাংলাদেশ সংগঠন মানবতা ও সমাজের সেবার লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সেচ্ছাসেবীরা আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতেছে, অতি শীগ্রই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাহিরে কয়েকটি জেলায় কমিটি গঠন করা হবে।