হবিগঞ্জের বানিয়াচুংয়ে হাওরের মধ্যে সকালে মাছ ধরতে গিয়ে দু'জন নিখোঁজ হন।এদিকে নিখোঁজ হওয়া দু’জনের মধ্যে বিকালে হাওর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯জুন
(শনিবার) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচুং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের সিফাত আলীর পুত্র হোসেন আলী(৪০) ও একই গ্রামের নুরুল ইসলাম মিয়ার পুত্র শাহ আলম মিয়া(১৭) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে রিং ও কারেন্টের জাল থেকে মাছ ধরতে গিয়ে দু’জন নিখোঁজ হন।দীর্ঘ সময় তাদেরকে খুঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে এলাকায় লোকজনের মধ্যেও এই বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে।তখন ঘটনাটি বানিয়াচুং থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
বানিয়াচুং পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবগত করেন, পরে ফায়ার সার্ভিসের একদল সদস্যও থানার এএসআই আব্দুল খালেকসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলের উক্ত হাওরে উপস্থিত হন। কিন্তু বানিয়াচুং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মধ্যে কোন ডুবুরি দল না থাকার কারণে পরে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করেন থানা পুলিশ।
হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরী উক্ত হাওরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে সুনামপুর হাওর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে নিখোঁজ শাহ আলম এর লাশ তখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানান।প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছেন,গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে উদ্ধারকৃত হোসেন আলীর মৃত্যু হয়েছে।এছাড়াও পানির গভীর স্রোতে পরে যদি শাহ আলম এর মৃত্যুও হয়ে থাকে তাহলে অন্য কোন হাওরের মধ্যে যাওয়ার সম্বাবনা রয়েছে।
উদ্ধারকৃত ব্যক্তি হলো উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের সিফাত আলীর ছেলে হোসেন আলী(৪০)।এছাড়া নিখোঁজ থাকা যুবকটি হলো একই গ্রামের নুরুল ইসলাম মিয়ার পুত্র শাহ আলম মিয়া(১৭)।এছাড়াও নিখোঁজ যুবকের উদ্ধারের চেষ্টায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসয়ের পক্ষ হতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।