ইউপি সদস্যদের বাধা দেয়ার অভিযোগ।। নেপথ্যে ইউপি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ৩ মে , ২০২৫ ১৩:৫৭ আপডেট: ৩ মে , ২০২৫ ১৩:৫৭ পিএম
ইউপি সদস্যদের বাধা দেয়ার অভিযোগ।। নেপথ্যে ইউপি সচিব

ভোলার চরফ্যাসনের জিন্নাগড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের নিয়ে নির্ধারিত মাসিক মিটিং পন্ড  করে দিলো দুর্বৃত্তরা। সড়কে দাড়িয়ে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ইউপি সদস্যদের পরিষদের যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে ইউপি সদস্যদের দাবী, সচিব মিটিং ডেকে ফের তার পালিত সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে সে মিটিং পন্ড করে দেন। চেয়ারম্যান না থাকায় প্রশাসককে ম্যানেজ করে লুটপাটের মহাযজ্ঞকে আড়াল করতে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন সচিব মো. অহিদুর রহমান।

৩০ এপ্রিল বুধবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য আবু জাহেরসহ ৯ ইউপি সদস্য। জানাযায়, ২৪ সনের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সকল ইউপি সদস্যরা নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদের উপস্থিত স্বাক্ষর দিলেও সাবেক ইএনও অপশক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ইউপি সদস্যদের  অনুপস্থিত  দেখিয়ে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন।পরে গত মার্চ মাসে ইউপি সদস্যরা তারা উপস্থিত আছেন এবং নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এই মর্মে ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে তাদের ৬ মাসের বেতান ভাতা চালু করা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হন ইউপি সচিব অহিদুর রহমান। মঙ্গল বার তিনি নিজেই সকল ইউপি সদস্যদের মাসিক মিটিং এ ডেকে তার পালিত বাহিনী দিয়ে ওই সভা পন্ড করে দেন।

জিন্নাগড় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু জাহের জানান, তারা সরকার পতনের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে  উপস্থিত হয়ে নিয়মিত নাগরিক সেবা দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি সময়ে সাবেক সচিব বশির উল্লাহ বদলি হলে নতুন সচিব অহিদুর রহমান যোগদান করেন এতে পাল্টে যায় ইউনিয়ন পরিষদের চিত্র। শুরু হয় নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির মহাযজ্ঞ। এতে বাধা হয়ে দাড়ান ইউপি সদস্যরা। তার নানান অনিয়মকে আড়াল করতে ইউপি সদস্যদেরকে নিয়ে মাসিক মিটিং ডাকেন সচিব অহিদুর রহমান। কিন্ত প্রতিবাদী ইউপি সদস্যদের অনুপস্থিত  দেখাতে তিনি মিটিং পন্ড করতে পথে পথে তার পালিত বাহিনী দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের আসতে ইউপি সদস্যদের বাধা দেন। মঙ্গলবার ইউপি সচিবের পালিত বাহিনীরা ইউপি সদস্যদের আসা কে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন । এতে ভয়ে আতংকে ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক মিটিংএ অংশ নিতে পারেননি ইউপি সদস্যরা।

জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অহিদুর রহমান জানান,আমার লোকজন ইউপি সদস্যদের পরিষদের আসতে দেয়নি কথাটি সঠিক নয়। ওই দিন মিটিংয়ের জন্য আমি পরিষদের গেলে বিএনপির কিছু লোকজন আমাকেও গাল মন্দ করে পরিষদ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।

প্রশাসক ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্তু কুমার অপু জানান,ওই দিন আমিও মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরিষদে গিয়ে ছিলাম। তবে কোন ইউপি সদস্যদের পাইনি। তবে একজন ইউপি সদস্য তাদেরকে পরিষদে আসতে বাধা দেয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। পরে আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। কতৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo