যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করায় তোপের মুখে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে ঢাকা মেট্রো জ-১১-০২৪৮ নম্বর বাসের সুপারভাইজার রকি। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাসটি পুলিশ হেফাজতে নিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে যশোরের উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করায় তোপের মুখে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে ঢাকা মেট্রো জ-১১-০২৪৮ নম্বর বাসের সুপারভাইজার রকি। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাসটি পুলিশ হেফাজতে নিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে যশোরের উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামেস্ট্রি বিভাগের ছাত্র মাহামুদুল হাসান রিফাত জানান, একই বিভাগের ছাত্রী নুজরাত নাদিয়া তার এক বন্ধুর সাথে করে শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর আসার জন্য মাগুরা বাসস্ট্যান্ড থেকে টিকিট কেটে স্বাধীন নামক ওই বাসে উঠেন। কিন্তু তার বন্ধু বাসে না উঠে ওই ছাত্রীকে (নাদিয়াকে) তার টিকিট দিয়ে দেন। বাস কিছু দূর আসার পর এক মহিলা বাসে উঠেন। তখন নাদিয়া তার পাশের ছিটে মহিলাকে বসান এবং বাসে সুপারভাইজার রকিকে বলেন, আমার কাছে দুইটা টিকিট আছে, ওই মহিলার কাছ থেকে ভাড়া নেয়ার দরকার নেই। তিনি তার বন্ধুর টিকিটটি প্রদর্শন করেন। একথা শুনে সুপারভাইজার রকি টিকিট তার হাত থেকে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এবং তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। বাসভর্তি মানুষের মধ্যে নাদিয়া অপমানিত হওয়ায় ফোন করে ঘটনাটি তার সহপাঠীদের জানান। সংবাদ পেয়ে সহপাঠীরা উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে এসে বাসটি আটকে দেয়। সে সময় সুযোগ বুঝে বাসের সুপারভাইজার রকি পালিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ক সার্কেল জুয়েল ইমরান, সেনাবাহিনীর যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর মাসুদ, কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ পুলিশ সদস্যরা।তাদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাসের সুপারভাইজারকে হাজির করতে হবে। তা না হলে বাস ভার্সিটিতে নিয়ে যাওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল জুয়েল ইমরান অভিযুক্তকে আটকের জন্য সময় দাবি করেন এবং তাকে আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন। পরে সেনাবাহিনীর মেজর মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ক সার্কেল জুয়েল ইমরান আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় বাস থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। বাসের মালিক সুপাভাইজারকে নিয়ে থানায় হাজির হবে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তার বিচার করা হবে। এই আশ্বাস দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা শান্ত হন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বাস কোতয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।