সভায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অংশীজন অংশগ্রহণ করেন। এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল সংশ্লিষ্ট সকলকে ইহসান-২ প্রকল্পের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, কার্যক্রম, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং উপকারভোগী সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়।
সভার উদ্বোধন করেন ,শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব পিয়াশ চন্দ্র দাস। তিনি তাঁর বক্তব্যে ইহসান-২ প্রকল্পের কার্যকর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় নেতৃত্ব ও অন্যান্য অংশীজনদের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।এরপর ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের পক্ষে জনাব মোঃ ফজলুর রহমান একটি তথ্যবহুল ও সুসজ্জিত পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কাঙ্খিত ফলাফল, শাল্লা উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়নসমূহ এবং প্রকৃত অধিকারভোগীদের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কর্মপদ্ধতি ও দাতাসংস্থা সিডা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান।প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্প বাস্তবায়নে গঠনমূলক মতামত প্রদান করেন। অনেকেই প্রকৃত উপকারভোগীদের মাঝে সেবা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান এবং উপস্থাপনা বাংলা ভাষায় প্রদর্শনের পরামর্শ দেন।ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মোঃ মোতাফিজুর রহমান অংশগ্রহণকারীদের কিছু পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা দেন এবং তাদের পরামর্শ প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।শাল্লা উপজেলার ইহসান-২ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।সভাটি সম্প্রীতি, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে শেষ হয়, যা প্রকল্প বাস্তবায়নর ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলবে.
মো. ফারুক মিয়া 
