অবৈধ মাদক এবং অস্র ব্যবসা করে কয়েক বছরে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সাভার বেদে পল্লির নজরুল ইসলামের ছেলে এক সময়ের রিক্সা চালক (শর্টগান)শাকিল মিয়া (৩৪)তার এই উত্থান সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
অবৈধ মাদক এবং অস্র ব্যবসা করে কয়েক বছরে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সাভার বেদে পল্লির নজরুল ইসলামের ছেলে এক সময়ের রিক্সা চালক (শর্টগান)শাকিল মিয়া (৩৪)তার এই উত্থান সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।মাদকের গডফাদার শর্টগান শাকিলের অবৈধ সকল সম্পওির তথ্য সমূহ।জানা যায়, মাদকের আস্তানা হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার টেকনাফ থেকে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ পিচ ইয়াবা এবং ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসে হেরোইন ও অবৈধ অস্রের চালান এবং ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা সিমান্ত এলাকায় থেকে গাজা ও ফেন্সিডিল।শর্টগান শাকিলের সাভারের বাইদা পারায় এসব মাদক ও অস্র বহন করে নিয়ে আসে তার নিজস্ব আত্তিয় স্বজন আপন ছোট ভাই ,কয়েকজন চাচাতো ভাই,তার আপন চাচি ,মামা,মামাতো ভাই সহ তার পরিবার ও বেতন ভোগী তার বাহিনী। সাভারের বাইদ্দা পারার আসল মাতব্বর ইউসুফ নানা তাই তাকে দিয়ে এলাকার ১২/১৩ জন মতব্বরদের মাসোয়ারা দিয়ে এবং মাসিক বেতন হিসেবে নিজস্ব সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে এক সিন্ডিকেট ,,মাদক সম্রাজ্য গড়ে তুলে নিয়মিত চোরা কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন এই শর্টগান শাকিল। ইয়াবা,হেরোইন,গাজা,ও ফেনাইডিল,সাভার বেদেপল্লি এলাকায় যে সকল ডিলারদের কাছে পাইকারি বিক্রি করে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন,শাহিন,রুস্তম,ফরিদা,কামাল,আজিম,রাসেদ,হারুন,পারভীন,সেলিম আপছার,এরশাদ,এনাম,নজরুল,আরিফ,রাজু ,বজরু,বুলবুল,রোকসানা,আমির,আলমগীর,মাসুক,আলিফ,নবর,বাচ্চু,নাহিদা,সহ আরো অনেককে। আর খুচরা বিক্রি করায় সাভারের বাইদা পাড়ার প্রায় দুইশত মহিলা,পুরুষ ও যুবকদের দিয়ে। একালায় অনেকের সাথে কথা বলে যানা যায় শর্টগান শাকিল অনেক চতুর তাই গোপনে সাভার থানা ও ডিবি অফিস র্যাব অফিসে নাকি প্রতি মাসে মোটা টাকা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই চোরা কারবার। শুধু সাভারের বেদে পল্লিতেই নয়,শাকিলের মাধ্যমে সাভার থেকে এখন,হেমায়েতপুর,গাবতলি,নবিনগর,ধামরাই,আশুলিয়া,কালিয়াকৈর,কেরানিগঞ্জ ,মানিকগঞ্জ ,সহ অনেক জায়গায় সকল প্রকার মাদক পাইকারি দিয়ে থাকে। কিনেছেন কয়েক কোটি টাকায় ৫টি ট্রাক। যাতে করে তিনি বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি মাদক পরিবহন করে । অবৈধ অর্থে ধামরাই থানায় বালিয়া গ্রামে গড়ে তুলেছেন আলিশান রাজপ্রাসাদ । সাভার বক্তারপুর এলাকায় আফসার মোক্তারের বাড়ির পাশে জমি কিনেছেন ৩১ শতাংশ। উক্ত জমির ক্রয়মূল্য ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। খঞ্জন কাঠি মৌজায়,আর এস দাগ নাম্বার ৩২৮‚৩২৯‚৩৩০। কাঞ্চনপুর মৌজায় ১৫ শতাংশ জমির উপরে মার্কেট আকারে দোকান ভাড়া দেওয়া দিয়েছে,যাহার ক্রয় মুল্য প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ লক্ষ টাকা। ঘোড়াদিয়া এলাকায় আব্দুর রহমানের বাড়ির পাশে অমরপুর মৌজায় আরএস ৫৬‚৫৭‚৫৮ নং দাগে নতুন জমি ক্রয় করেছে ২৮ শতাংশ উক্ত জমির ক্রয় মুল্য প্রায় ১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। সিন্দুরিয়া ইডেন গার্ডেন এর সাথে রাস্তার পাশে নতুন জমি ক্রয় করেছে ২৬ শতাংশ যাহার মুল্য প্রায় ৯৮ লাখ টাকা। ধামরাই থানার কাজিয়ার কুন্ডু এলাকায় জমি ক্রয় করেছে ৭০ শতাংশ যাহার মূল্য ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা।বেদে পল্লির আতাউর মেম্বারের বাড়ির পাশে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন এই মাদকের গড ফাদার শাকিল মিয়া। উক্ত জমির ক্রয় মূল্য ৫৬ লাখ টাকা। বাড্ডা স্কুলের পিছনে আক্তারের বাড়ির সাথে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি করে ভারা দিয়েছে যাহার মূল ৮০ লাখ টাকা।মল্লিকের টেক এক দাগে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এখানেই তিনি থেমে নেই ,ঢাকার অভিজ্যাত এলাকায় গড়ে তুলেছেন নামে বেনামে অনেক অবৈধ সম্পদ। ঢাকার উওরায় একটি আলিশান বাড়িতে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছে যাহার মূল্য ১ কোটি টাকা। ঢাকার মিরপুর (১৪) এলাকায় ২টি ফ্ল্যাট ক্রয় যাহার মূল্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এক দাগে ৬০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন যাহার মূল্য ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সিলেটের নিজ নামে একটি রিসোট করার জন্য দ্রুত জমি কেনার লোক লাগিয়েছেন। এছাড়া তার দখল বানিজ্য ও অসহায় মানুষের জমি জোড় দখল করে নিজের নামে জমি নিয়েছেন। বেদেপল্লিঅমরপুর ‚বক্তারপুর ‚ঘোড়াদিয়া এলাকার মানুষ কে জিম্মি করে তাদের জমি দখল করে নিয়েছে। এলাকার BNP সেক্রেটারি জনাব আক্তার হোসেন বেপারির নিকট বেদেপল্লি এলাকার মাদক এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাদকের এই গড ফাদার শাকিল সহ কয়েকজন বাইদা আগে পুলিশের আর আওয়ামীলীগের নেতাদের অনেক টাকা দিয়ে ,নেশা বিক্রি করতো আর এখন বিএনপির একজন নেতার নাম ভাংগিয়ে তাকে মেনেজ করে ,করে যাচ্ছে সকল প্রকার অবৈধ মাদকের চোরা কারবার। বাইদারা চার পাশের আমাদের সমাজের সকল যুব ছেলেদের ধংস করে দিতেছে। আতাউর রহমান( সাবেক মেম্বার)বলেন যে বাইদার বাচ্চারা আগে আমাদের এলাকায় চেয়ে চিন্তে ভিক্ষা করে খাইতো আর এখন,গাজা হেরোইন,ইয়াবা বেইচ্চা অবৈধ টাকা কামাইছে এই সালাদের জন্য আমাগোই এখন বসবাস করা কষ্ট। সাভার ডিবি ওসি বলেন যে বেদেজনগোষ্ঠীর মাদকের গড ফাদার শাকিল সহ মাদক ব্যাবসায়ীদের ৬০ জনের নামের তালিকা পেয়েছি এবং অনেকের কাছে যেনেছি আমরা দ্রুত এদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। পরিশেষে এই এলাকাবাসী এই মাদকের গড ফাদারের তার হাত থেকে রেহায় পেতে চায়। মানুষের একটাই চাওয়া ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন কোন ভাবেই এই মাদক ব্যবসায়ীর দ্বারা ধ্বংস না হয়ে যায়। এই জন্য এলাকাবাসী সাভার মডেল থানা পুলিশে সহ সকাল প্রশাসনের সহযোগিতা চায় এবং শাকিল কে আইনের আওতায় এনে তার শাস্তি দাবি করে এবং সামনে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন কোন ভাবেই নষ্ট না হয়ে যায়।