চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে পাহাড় কাটার কার্যক্রম। বিশেষ করে চরম্বায় এধরণের অবৈধ কার্যক্রম চলার খবর পেয়ে পাহাড় কাটার স্থানগুলো পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ফয়সল।
বুধবার (২০ মার্চ) সকালে উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের বিবিরবিলা এবং চরম্বা হিন্দু পাড়াসহ ৫টি পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করেন।
এসময় উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির বজলুল হুদা চৌধুরী, পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মহসিনসহ ভূমি অফিসের স্টাফগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ফয়সল জানান, সম্প্রতি সময়ে রাঁতের আধারে এলাকার প্রভাবশালী পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছিল। আমরা পাহাড় কাটার বিষয়টি অবগত হলে বুধবার সকালে পরিদর্শন করেছি। পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, পাহাড় কাটা সম্পুর্ণ অপরাধ। পাহাড়, টিলা, মাটি কাটার দায়ে লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় খেকো ও মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। চরম্বার পাঁচটি স্পটে পাহাড় কাটায় পরিবেশের টিম ও উপজেলা ভূমি অফিসের টিম পরিদর্শন করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।