রায়পুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ রোগীদের ভোগান্তি

মোঃজহির হোসেন প্রকাশিত: ২৯ জুন , ২০২৪ ১৫:০৪ আপডেট: ২৯ জুন , ২০২৪ ১৫:০৪ পিএম
রায়পুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ রোগীদের ভোগান্তি
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ১ ঘন্টা লাইনে থেকে নিকেট কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারি নাক-কান-গলার কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এ সময় আমেনা বেগমের (৪২) নামের বামনী গ্রামের এ নারী জানালেন, জরায়ু সমস্যার জন্য চিকিৎসক দেখাতে এসেছেন তিনি। এই সমস্যার নাকি কোনো ডাক্তার হাসপাতালে নেই। শুধু মান্নান আর আমেনা নয়, রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বহির্বিভাগে আসা রোগীদের। এছাড়াও অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় প্রসূতিদের চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই।২৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কাগজে-কলমে আছেন ১০ জন। তাঁদের মধ্যে দুজন যোগদানের পরই ছুটি নিয়ে চলে যাওয়ায় চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র ৮ জন। এ অবস্থায় প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। গত তিন মানে স্থানীয় এমপির ডিও লেটার নিয়ে ৬ জন চিকিৎসচ চলে যায় সদর হাসপাতালে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন আবদুল  মান্নান বলেন, প্রায় ১ ঘন্টা লাইনে থেকে নিকেট কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারি নাক-কান-গলার কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এ সময় আমেনা বেগমের (৪২) নামের বামনী গ্রামের এ নারী জানালেন, জরায়ু সমস্যার জন্য চিকিৎসক দেখাতে এসেছেন তিনি। এই সমস্যার নাকি কোনো ডাক্তার হাসপাতালে নেই। শুধু মান্নান আর আমেনা নয়, রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বহির্বিভাগে আসা রোগীদের। এছাড়াও অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় প্রসূতিদের চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

জানা গেছে, এখন গাইনি, অর্থোপ্যাডিক সার্জন, অ্যানেসথেসিয়া, চক্ষু ও ইএনটি, চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য। প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় অনেক রোগী চলে যায়। এছাড়াও হাসপাতালে তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেণির ২৪টি চতুর্থ শ্রেণির ২৭ পদের মধ্যে ৪১টি শূন্য রয়েছে। সেবিকার ৩০টি পদ থাকলেও ১৪টি পদও শূন্য। ১০টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তার সবকটি পদও শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। গাইনি চিকিৎসকসংকট দীর্ঘদিনের। এ কারণে চিকিৎসা কার্যাক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এতে ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডাঃ মামুনুর রশিদ পলাশ  বলেন, আরএমওকে দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় বেশি। তার পরেও আমি হাসপাতালের বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালের মূল প্রাণ হলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এখানে আট জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। এসব রোগীকে চিকিৎসা কর্মকর্তারাই সেবা দিচ্ছেন। দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগদান করে ছুটি নিয়ে চলে গেছেন। ওই দু’টি এখনও শূণ্য দেখানো যাচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বাহারুল আলম বলেন, ‘চিকিৎসকসহ জনবল না থাকায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অবস্থা এমন যে শুধু হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সমস্যাগুলো বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কোন কাজ হলো না,উল্টো আরও ৬ জন এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার নিয়ে সদর হাসপাতালে চেলে গেলে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo