দল যখন সংকটে, রাজপথ যখন ফাঁকা, নেতাকর্মীরা যখন নিভৃতে—ঠিক তখনই একা এগিয়ে এসেছেন তিনি। বুক চিতিয়ে লড়েছেন রাজপথে, দলীয় পতাকাকে রেখেছেন উঁচুতে, আর বুকে বয়ে বেড়িয়েছেন ৪৩টি মামলার ভার। তিনি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ—নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি, একজন নির্ভীক রাজনৈতিক যোদ্ধা।
রাজনীতির শুরুটা ১৯৮৮ সালে, নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্রদল কর্মী হিসেবে। তারপর ধাপে ধাপে হয়েছেন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, আর আজ যুবদলের জেলা সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ)। কিন্তু এ অর্জনের পথটা ছিল কাঁটায় ভরা—দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, গ্রেফতার আর দীর্ঘ কারাবাস।
দলের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার ফলস্বরূপ তাকে ১৭ বার গ্রেফতার হতে হয়েছে। কারাগারে কাটিয়েছেন ৮ বছরের বেশি সময়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ঝুলছে ৪৩টি রাজনৈতিক মামলা, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা মামলা ও কারাগার ভাঙচুরের অভিযোগও। এতকিছুর পরও দমে যাননি মহসিন বিদ্যুৎ। বরং রাজপথেই থেকেছেন আরও শক্ত হয়ে, আরও আস্থার প্রতীক হয়ে।
বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, যখন অনেক নেতা এলাকা ছেড়ে গেছেন, কেউ ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায় মন দিয়েছেন, তখন বিদ্যুৎ ভাই ছিলেন রাজপথে, আদালতপাড়ায়, আন্দোলনের সম্মুখভাগে। তিনি শুধু নেতা নন, কর্মীদের কাছে তিনি এক সাহসের নাম, এক অনুপ্রেরণার প্রতীক।
একজন তৃণমূল কর্মীর ভাষায়, “বিদ্যুৎ ভাই আমাদের শেখান—রাজনীতি মানে ত্যাগ। নির্যাতন, গ্রেপ্তার, মামলা—এসব তাকে থামাতে পারেনি। তিনি আমাদের আদর্শ।”
তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের পথে বিএনপির যে নতুন গতির সূচনা হয়েছে, তাতে এমন ত্যাগী, নির্যাতিত, মাঠের পরীক্ষিত নেতাদের গুরুত্ব আরও বেশি। তৃণমূল কর্মীদের প্রত্যাশা, এখন সময় এসেছে মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎয়ের মতো নেতাদের সামনে আনার, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের।
দলের এই অন্ধকার সময়ে যারা আগুনপথ বেয়ে হেঁটেছেন, যারা মামলা, হামলা আর গ্রেপ্তারের শঙ্কায়ও রাজপথ ছাড়েননি—তাদেরকে কি মূল্যায়ন করবে বিএনপি? না কি নীরব থেকে আলোচিতদের কাতারেই হারিয়ে যাবে এই রাজপথের প্রকৃত সৈনিকেরা?