যশোর সদরে এমপি নাবিলের বিরুদ্ধে আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারের

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২১ মে , ২০২৪ ০৮:০৫ আপডেট: ২১ মে , ২০২৪ ০৮:০৫ এএম
যশোর সদরে এমপি নাবিলের বিরুদ্ধে আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা  আনোয়ারের
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রভাব বিস্তার করছেন। এমন অভিযোগ এনে সোমবার (২০ মে) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার।

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রভাব বিস্তার করছেন। এমন অভিযোগ এনে সোমবার (২০ মে) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষে কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকবে না মর্মে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সুস্পষ্ট আদেশ থাকা সত্ত্বেও যশোর-৩ (সদর) আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত আনোয়ার হোসেন বিপুলকে তার মনোনীত সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সরাসরি হুকুম প্রদান করেন এবং বিপুলের পক্ষে নির্বাচনে অংশ না নিলে দলীয় পদ হারানোসহ বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে মর্মে হুমকি দিয়েছেন বলে সর্বমহলে কথা উঠেছে। স্থানীয় এমপির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে আনোয়ার হোসেন বিপুল বিভিন্ন এলাকায় পেশি শক্তি প্রদর্শন করে আসছে। বিশেষ করে ৭নং চাঁচড়া ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী সেলিম রেজা পান্নু ও তার অনুসারীরা বিগত ইউপি নির্বাচনের ন্যায় বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকায় গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু ও তার অনুসারীরাও একইভাবে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে।

তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল এবং ১১ মে স্থানীয় সংসদ সদস্য তার বাসার কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের ডেকে সরাসরি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সকল আর্থিক খাত তার হাতে রয়েছে। তিনি বলেন যে, তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে যদি কাজ না করা হয়, তাহলে চেয়ারম্যান ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং সরকারি আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবেন। এছাড়াও উপজেলার সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পদ হারানোর ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করতে এমপির এপিএস সুজন সাত্তার প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিশ্চয়তা বিধানে তদারকি করছেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় এমপির নির্দেশের বাইরে যে সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কাজ করবে তাদের নামের তালিকা করছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে আজ মঙ্গল ও আগামীকাল বুধবার এমপি নাবিল সদর উপজেলায় অবস্থান করে কাজীপাড়া লিচুতলায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি মোকছেদের বাসায় এবং কাজী শাহেদ সেন্টারে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়ের আড়ালে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করে তার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের পক্ষে প্রচারণা চালাবেন বলে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা আনোয়ারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo