যশোর শহরের মানুষের বিনোদনের জন্য ভৈরব নদের ধারের পার্ক চালু করা হলেও পশ্চিম পাশের ওয়াকওয়ের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কাজে বাধা হয়ে দাড়িয়ে একটি ক্লিনিক। সেই সাথে ভৈরবে জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান খুব শীঘ্র অবৈধ ¯স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাকি কাজ শেষ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায় শহরে ভৈরব নদ খনন কাজ শুরু করা হয় ২০১৭ সালে। নানা সমস্যার কারনে এ কাজ শেষ হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। ২০২২ সালের জানুয়ারি পার্কে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হয়। ভৈরবের দক্ষিণ পাশে পার্ক নির্মান ও উত্তর পাশে ভৈরব দুষণ মুক্ত করার জন্য ড্রেন ও মানুষের হাটার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মান কাজ শুরু করা হয়। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভৈরব নদের দক্ষিন পাশের পার্ক নির্মান কাজ সহ সকল কাজ শেষ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর পার্কে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ডে উদ্যোগে পার্কটি জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। প্রতিদিন বিকেলে সেখানে মানুষ ঘুরতে আসে। অথচ উত্তর পাশের ওয়ার্কওয়ে নির্মান কাজ এখন শেষ হয়নি। সেখানে একটি ক্লিনিকের ভবনের অতিরিক্ত অংশ ভৈরবের সীমানায় আসায় ড্রেন ও ওয়াকওয়ে নির্মান কাজ শেষ হয়নি। রবং কাজ বন্ধ রয়েছে। এরই মাঝে দুইজন নির্বাহী প্রকৌশলী বদলী হয়ে চলে গেছে। তারা থাকাকালীন সময়ে ও ড্রেন ও ওয়াকওয়ে নির্মান কাজ শেষ করে যেতে পারেননি। ইতিমধ্যে ভৈরবের বেশ কিছু জায়গা বেদখর হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানান, খবু তাড়াতাড়ি ক্লিনিরে ভবন অপসারণ করে অসমাপ্ত থাকা ড্রেন ও ওয়াকওয়ে নির্মান কাজ শুরু করা হবে। সেই সাথে ভৈরবের ধারের অবৈধ ¯স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।