যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৫:৩৯ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৫:৩৯ পিএম
যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান
যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল ঐতিহ্য রক্ষার দাবীতে জন উদ্যোগ যশোরের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল ঐতিহ্য রক্ষার দাবীতে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল ঐতিহ্য রক্ষার দাবীতে জন উদ্যোগ যশোরের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল ঐতিহ্য রক্ষার দাবীতে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জনউদ্যোগ যশোরে আহবায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমদ, প্রবীন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌল্লাহ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, সিপিবি যশোর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, প্রেস ক্লাব যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, জনউদ্যোগ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা মাসুমা বেগম,  প্রাইডের নিবার্হী পরিচালক উজ্জ্বল কুমার বালা, দৈনিক রানারের ডেপুটি এডিটর প্রণব দাস, আইইডি  যশোর কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বীথিকা সরকার, জনউদ্যোগ যশোরের সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের ধারক-বাহক যশোর। জেলার বয়স ২৪১ বছর। যশোর  এমন সব ইতিহাস-ঐতিহ্যের অধিকারী যা বাংলাদেশ তো বটেই যুক্ত বাংলার অন্য কোন জেলায় নেই।

যশোরের ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা জেলা পরিষদ ভবন, পরিত্যাক্ত রেজিস্ট্রি অফিস ভবনসহ জজকোর্ট ভবন, পৌর সভার জলকল, পুলিশ সুপারের ভবন রক্ষার দাবি জানানো হয়।যশোর জেলা পরিষদ ভবনটি যুক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। ১৯১৩ সালে ভবনটি নির্মিত হয়। ২০১৯ সালে জেলা পরিষদ ভবনটি একবার ভাঙ্গার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় যশোরবাসীর আন্দোলনের মুখে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়। আমাদের আশ^স্ত করা হয় এই বলে  যে, ভবনটি থাকবে। কিš‘ ঘাপটি মেরে থাকা একটি পক্ষ ব্যবসাসিক স্বার্থে সুকৌশলে পাঁচ বছরের মাথায় এসে ফের ভনটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা যশোরবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা মনে করি এটি ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী সর্বনাশী সিদ্ধান্ত। জেলা পরিষদ ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল নকসা অপরিবর্তিত রেখে সংষ্কার করে ভব্যিষৎ প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। আমরা ভব্যিষত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের জোর দাবি জানানো হয়।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo