যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৩৮ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৩৮ এএম
যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবিতে ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হয়। রোববার বেলা সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদাদের মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবিতে ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হয়। রোববার বেলা সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদাদের মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যশোর জেলা পরিষদ ভবনটি যুক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ১৯১৩ সালে এই ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। ২০১৯ সালে ভবনটি একবার ভাঙ্গার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় যশোরবাসীর আন্দোলনের মুখে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ঘাপটি মেরে থাকা একটি পক্ষ ব্যবসাসিক স্বার্থে সুকৌশলে পাঁচ বছর পরে এসে ফের ভনটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যশোরবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী সর্বনাশী সিদ্ধান্ত। জেলা পরিষদ ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল নকসা অপরিবর্তিত রেখে সংষ্কার করে ভব্যিষৎ প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি।‘একে একে নিভিছে দেওটি’ এর মতো যশোরের ঐতিহ্যের ধারক সব স্মারকগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে  যাচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো আধুনিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনা প্রথম ভবন যশোর জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের পরিত্যক্ত ভবন। এই ভনটি যশোরের প্রথম কালেক্ট্ররেট ভবন। এই ভনটির ঐতিহ্য রক্ষায় কারো কোনো উদ্যোগ নেই। সেটি আজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে।শুধু তাই নয় যশোরের জেলা জজ আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ও ইতিহাস ঐত্যিহের স্মারক। যে জাতির ইতিহাস নেই সে জাতি নিঃস্ব। যশোর জেলাবাসী সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্যের অধিকারী। কিš‘ এসব ঐতিহ্যের স্মারকগুলো রক্ষার দায়িত্বে যারা তাদের অজ্ঞতা, অদূরদর্শীতা ও স্বার্থপ্রীতির কারণে  একে একে ধংস্ব হয়ে যাচ্ছে।ভব্যিষত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাজেদ রহমান বকুল,  প্রেস ক্লাব যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু ও জেলা সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট কামরুণ নাহার কণা, সাংস্কৃতিক কর্মী প্রনব দাস , জনউদ্যোগ যশোরের সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল প্রমুখ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo