ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

Sabbir hossain প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৭:৪১ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৭:৪১ পিএম
ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ দিয়েছেন রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ঢাবির এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের দুটি ও মৌখিক যৌন হয়রানী ধামাচাপা দেওয়ার একটি মোট তিনটি অভিযোগ ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ দিয়েছেন রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ঢাবির এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের দুটি ও মৌখিক যৌন হয়রানী ধামাচাপা দেওয়ার একটি মোট তিনটি অভিযোগ ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর ই-মেইলে অভিযোগ দেন এবং সকাল ১১টায় ওই শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন লিখিত অভিযোগটি জমা দেন প্রক্টর বরাবর। 

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে দিনের পর দিন যৌনতা সম্পর্কিত অশ্লীল কথোপকথন, কথা বলতে না চাইলে শ্রেণিকক্ষে মানসিক নিপীড়ন, ধর্মচর্চা, পোশাক ও গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার বিষয় উল্লেখ করেছেন।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ওই অধ্যাপক শুরুতে যারা ‘ভালনারেবল’ মেয়ে, অর্থাৎ দেখতে সুন্দর, কিন্তু জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনিরাপত্তায় ভোগে বা দ্বিধান্বিত, তাদের টার্গেট করেন। এক পর্যায়ে নানান ছলছুতোয় তাদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে তোলেন এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। সুযোগ বুঝে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু এটা শুধুই একটা ফাঁদ।

কেননা, উনি একজন অধ্যাপক, আর্থিক নিরাপত্তা অত্যন্ত সুদৃঢ়, দেখতে সুদর্শন; স্বাভাবিকভাবে মেয়েরা তার দিকে আকৃষ্ট হয়। এটাকে ব্যবহার করেই তিনি সবার সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলেন যেখান থেকে তিনি বাচিক ও মানসিকভাবে যৌনসুখ লাভ করতে পারবেন।

ভুক্তভোগী লেখেন, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের আড়ালে পুরো ব্যাপারটা তিনি এমনভাবে মঞ্চস্থ করেন, যেন তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না থাকে, তাকে দোষী বানানো না যায়। এটি প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার্থীদের তিনি তার বাড়িতেও নিমন্ত্রণ জানান বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থী।

অভিযোগ গ্রহণ শেষে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযোগ পত্র ই-মেইলেও পেয়েছি, হার্ড কপিও পেয়েছি। ইতিমধ্যেই অভিযোগপত্র আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই অধ্যাপক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একই মাসে আমার বিরুদ্ধে তিন তিনটে অভিযোগ আসা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা না। কয়েকমাস পরে আমার বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়ে এমন তিনটে অভিযোগ আমার কাছে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে করাই হচ্ছে।

আজ বুধবার কে অভিযোগ দিয়েছেন, কী অভিযোগ দিয়েছেন এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে আমায় কিছু এখনো জানানো হয়নি। তাই আমি এবিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে কেও কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দিলে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত কারই নাম প্রকাশ না করা বিচার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি-ই গঠন হয়নি, তবুও গণমাধ্যমগুলো ঢালাওভাবে আমার নাম-পরিচয় ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে৷ এতে করে আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। মানসিকভাবেও আমি বিপর্যস্ত।’

আজ বুধবার কে অভিযোগ দিয়েছেন, কী অভিযোগ দিয়েছেন এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে আমায় কিছু এখনো জানানো হয়নি। তাই আমি এবিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে কেও কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দিলে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত কারই নাম প্রকাশ না করা বিচার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি-ই গঠন হয়নি, তবুও গণমাধ্যমগুলো ঢালাওভাবে আমার নাম-পরিচয় ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে৷ এতে করে আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। মানসিকভাবেও আমি বিপর্যস্ত।’

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo