যশোরে সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত ও মেসের উপর নজরদারির সিদ্ধান্ত

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৩ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:০৮ আপডেট: ৩ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:০৮ পিএম
যশোরে সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত ও মেসের উপর নজরদারির সিদ্ধান্ত
সেই সাথে ওয়ার্ড ভিত্তিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উজ্জীবীত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে অভিভাবক সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের বোঝানো ও খালি পরিবহন রাস্তায় থামিয়ে না রেখে নিরাপদ স্থানে রাখা ও মেসের উপর নজরদারি করার সিদ্ধান্ত হয়।যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

যশোর জেলায় সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে জেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পৌরমেয়রদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা রেলের নাশকতা রোধে কাজ করবে।

সেই সাথে ওয়ার্ড ভিত্তিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উজ্জীবীত  করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে অভিভাবক সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের বোঝানো ও খালি পরিবহন রাস্তায় থামিয়ে না রেখে নিরাপদ স্থানে রাখা ও মেসের উপর নজরদারি করার সিদ্ধান্ত হয়।যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজমুদার বলেন, জেলায় সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে প্রতিটি প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে হবে। তারা সন্ত্রাস ও নাশকতাকারীদের তালিকা প্রশাসনকে দেবে। রাস্তায় রাতে পরিবহন থামিয়ে রাখলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটার আশঙ্কা থাকে। এজন্য পরিবহন রাস্তায় থামিয়ে না রেখে নিরাপদ স্থানে রাখবে বাস মালিকরা।

ফেসবুক ও ইউটিউবে গুজব ছড়ানো বন্ধ রতে হবে। এগুলো থেকে সন্তানদের দূরে রাখতে হবে। সন্ত্রাস ও নাশকতা রোধে ওয়ার্ড কমিটি কাজ করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর যারা মেসে আছে, এজন্য মেসের উপর নজরদারি করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে অভিভাবক সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে। এটা প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ইস্যু করে পরিকল্পিত ভাবে দেশের অনেক সম্পদের ক্ষতি করেছে। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। সন্ত্রাস ও নাশকতা রোধে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে হবে।বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম বলেন, কোটা সংস্কারে ছাত্রদের যে দাবী ছিলো তা সরকার মেনে নিয়েছে।

তাহলে এখন যারা আন্দোলন করছেন তারা কারা। এদের আসল পরিচয় খুঁজে বের করতে হবে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কেনইবা মিছিলে সরকার পতনের স্লোগান দিচ্ছে। বিষয়টি এখন সবার কাছেই পরিস্কার। তাই প্রশাসনের উচিৎ দেশবিরোধী অপশক্তিকে কঠোরভাবে দমন করা। এসময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বর্তমান অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। রবিউল আলম বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে আজ সব থেকে বেশি দায়িত্ব সরকারী দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। কিন্তু তারা এখন একজোটই হতে পারছেন না।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উচিৎ ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়ার আহবান জানান তিনি।জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত দল সন্ত্রাস ও নাশকতা চালিয়ে ক্ষমতায় যেয়ে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এজন্য তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ইস্যুকরে দেশের সম্পদের ক্ষতি করেছে। নাশকতা রোধে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা।

তারা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে কাজ করবেন। দলের এমপিরা শক্তিশালী। তাদের এ সভায় থাকা দরকার ছিল।যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অ্যাপস) বেলাল হোসাইন বলেন. দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কাজ করে। কোন তথ্য পেলে মেসে অভিযান চালানো হয়। পরিস্থিতি ভাল রাখতে ফেসবুক, ইউটিউব ও হটসঅ্যাপ মনিটরিং করা হয়। তবে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি ভাল আছে।

প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, সন্ত্রাস ও নাশকতা রোধে সব সরকারি অফিস কর্তৃপক্ষ নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে।যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দ্দৌলা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীরা কিভাবে রাস্তায় এসে আন্দোলন করেছে, কারা এটা করতে মদদ দিয়েছে। তাদেরকে খুঁেজ বের করে শাস্তি দিতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী এখনও মেসে আছে, তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে হবে।

জেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, কোটা আন্দোলন রাজনৈতিক হয়ে গেছে। এটাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যদিয়ে আমরা চলছি।  এজন্য সন্ত্রাস ও নাশকতা রোধে সন্তানদের সঠিক পথ দেখাতে হবে। সেই সাথে পৌরসভাও ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি করে দায়িত্ববানদের সম্পৃক্ত করতে হবে। পাশাপাশি মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন বলেন, সব কিছুর দায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপালে হবে না। এজন্য জেলার সব পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ে রেলের নাশকতা প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। যারা ফেসবুক ও ইউটিউবে উস্কানীমূলক পোস্ট দেয়, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এসময় বক্তব্য রাখেন মুযহারুল ইসলাম মন্টু, র‌্যাবের কমান্ডার মেজর সাকিব, যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ, বড়বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মীর মোশাররফ হোসেন বাবু, সরকারি সিটি কলেজের প্রভাষক আব্দুর রহিম, সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক আশরাফুজ্জামান, জেলা ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর র

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo