যশোরে নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মশালা

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:৪৯ আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:৪৯ এএম
যশোরে নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মশালা
যশোরে নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি অবহিতকতকরণ কর্মশালা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এই কর্মশালা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইএইচআর ইমোজিং রিইমার্জিং ডিজিজ কন্ট্রোল শাখা কর্মশালাটির আয়োজন করে।

যশোরে নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি অবহিতকতকরণ কর্মশালা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এই কর্মশালা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইএইচআর ইমোজিং রিইমার্জিং ডিজিজ কন্ট্রোল শাখা কর্মশালাটির আয়োজন করে।

যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আবরাউল হাছান মজুমদার। প্রধান বক্তা ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মাকসুদা খানম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. নুজহাত নাদিয়া। নিপা ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক ও নিয়ন্ত্রণের ওপর ভিডিও চিত্রের সাথে আলোচনা করেন আইপিএইচের সিনিয়র ভাইরোলজিস্ট ডা. খন্দকার মাহবুবা জামিল।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি পুলিশ হসপিটালের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত জাহান মিতু, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ,  শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম, ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশিদুল আলম, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাখি, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাস,  অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান ডিটু, বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুপ জ্যোতি ঘোষ, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলমগীর , সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এতে নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। মনে রাখতে হবে নিপাহ ভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই। এতে আক্রান্ত হলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে। এ সময় গাছিদের কাঁচা রস বিক্রি না করার জন্য তিনি আহবান জানান।

সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, যশোরের যশ খেজুরের রস। কিন্তু খেজুরের কাঁচা রস খেলে এখন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। বাদুরের লালা ও প্রস্রাব থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইড লাইন অনুযায়ী, কাঁচা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কর্মশালায় বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও গাছিরা অংশগ্রহণ করেন। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo