যশোরে আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ওই কলেজের মোবাইল পাওয়া পরিদর্শক সহকারী অধ্যাপক তরফদার কায়ছার পারভীনকে শোকজ করেছে শিক্ষা বোর্ড

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২ জুলাই , ২০২৪ ১১:৫৭ আপডেট: ২ জুলাই , ২০২৪ ১১:৫৭ এএম
যশোরে আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ওই কলেজের মোবাইল পাওয়া পরিদর্শক সহকারী অধ্যাপক তরফদার কায়ছার পারভীনকে শোকজ করেছে শিক্ষা বোর্ড
তাকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায় রোববার এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে কক্ষ পরিদর্শক একই কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তরফদার কায়ছার পারভীন ও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালাহউদ্দীন মাহমুদ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কেন্দ্রের কয়েক জন পরীক্ষার্থীকে সহযোগীতা করছিলেন।

যশোরে আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ওই কলেজের মোবাইল পাওয়া পরিদর্শক সহকারী অধ্যাপক তরফদার কায়ছার পারভীনকে শোকজ করেছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

তাকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায় রোববার এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে কক্ষ পরিদর্শক একই কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তরফদার কায়ছার পারভীন ও কলেজের ব্যবস্থাপনা  বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালাহউদ্দীন মাহমুদ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কেন্দ্রের কয়েক জন পরীক্ষার্থীকে  সহযোগীতা করছিলেন। 

পরীক্ষা পরিদর্শনের সময় শিক্ষা বোর্ডের ভিজিলেন্স টিম ও মনিরামপুরের সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের ইসলামে ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক আতিয়ার রহমান কক্ষ পরিদর্শক তরফদার কায়ছার পারভীনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। ওই সময় পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক গনিতের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুর রহমানকে নির্দেশ দেন ওই দিন তার পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অবহতি ও বাকি পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অবহতি দেয়ার জন্য। কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক কোনভাবে পাবলিক পরীক্ষায় এ ধরনের বেআইনী কোন অপরাধ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান বা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে।

দোষী শিক্ষক ও কর্মচারীগণ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে  তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তার (এমপিও) ¯’গিত করে তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করার জন্য গভর্ণিং বডি-কে বলা হবে। গভর্ণিং বডি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে কমিটি বাতিল করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। পরীক্ষা শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অত্যাবশ্যকীয় নির্দেশনায় এটি উল্লেখ করা আছে। আর মিউনিসিপ্যাল কলেজে কক্ষ পরিদর্শক একই কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তরফদার কায়ছার পারভীন এধরনের অপরাধ করেছেন। তাই তাকে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সোমবার তাকে শোকজ করেছেন। সাত কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ জানান চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশে আব্দুর মিউনিসিপ্যাল কলেজে কক্ষ পরিদর্শক একই কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তরফদার কায়ছার পারভীনকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আব্দুর মিউনিসিপ্যাল কলেজের কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন জানান, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাছ থেকে তরফদার কায়সার পারভীনের ঘটনা জানতে পেরে তাকে তাৎক্ষনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সাথে বাকি পরীক্ষা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে সোমবার বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo