মাদারীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দুই সমর্থক কর্মীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ২ মে , ২০২৪ ১১:৩৯ আপডেট: ২ মে , ২০২৪ ১১:৩৯ এএম
মাদারীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দুই সমর্থক কর্মীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
মাদারীপুরে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দুই সমর্থক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিবুবর রহমান খানের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মাদারীপুরে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দুই সমর্থক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিবুবর রহমান খানের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চৌহদ্দি গ্রামের আমরী সরকারের ছেলে মানিক সরকার (৪১) ও তার সহযোগী সুকদেব সরকার (৪২)।ভুক্তভোগীরা জানায়, মাদারীপুর শহর থেকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিকের প্রার্থী আসিবুর রহমান আসিব খানের নির্বাচনী পোস্টার নিয়ে সহযোগী সুকদেব সরকারকে সাথে নিয়ে ইজিবাইক করে নিজ গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন মানিক সরকার। মাঝপথে তালতলা এলাকায় আসলে মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খানের সমর্থক দত্ত কেন্দুয়া গ্রামের জালাল হাওলাদারের ছেলে স্বপন হাওলাদার (৩৮) তাদের ইজিবাইক গতিরোধ করে। এ সময় মানিক ও সুকদেবকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে স্বপনের বিরুদ্ধে। পরে আত্মরক্ষার্থে একটি দোকানের ভেতর আশ্রয় নিয়েছিলেন আহত আনারস প্রতিকের দুইকর্মী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে থানা পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানিক ও সুকদেবকে উদ্ধার করে। পরে দুইজনকেই চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় আড়াইশো শয্যা জেলা হাসপাতালে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায় পুলিশ। এদিকে অভিযুক্ত স্বপন হাওলাদার ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আহত মানিক সরকার বলেন, যতিন সরকার ও নাদিম বৈদ্যর নির্দেশে অতর্কিতভাবে স্বপন হাওলাদার লোকজন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। প্রাণের ভয়ে সাটার বন্ধ করে একটি দোকানে আশ্রয় নিলে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে উদ্ধার করে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।তবে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে নাদিম বৈদ্য জানান, আমি এই ঘটনা জানিনা। কারা কেন হামলা করেছে তাও বলতে পারবো না।মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ গিয়ে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী মানিক সরকার। এরইমধ্যে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo