স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র বজ্রদীপ্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালরাতে পাক হানাদারদের সশস্ত্র আক্রমণের বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থানকারী বাংলাদেশ পুলিশের অসম সাহসী বীর সদস্যরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল হতে নিক্ষেপ করেছিল প্রতিরোধের প্রথম বুলেট, সূচনা হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের।
অপরিসীম ত্যাগের শানিত বিশ্বাসকে লালন করে প্রথম প্রতিরোধযুদ্ধ হতে দীর্ঘ নয় মাস বাংলাদেশ পুলিশ ছিল স্বাধীনতাকামী মুক্তির মিছিলের অগ্রভাগে। দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে রেখেছে বীরোচিত অবদান। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পঁয়ত্রিশ হাজার পুলিশ সদস্যের অর্ধেক সংখ্যক সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শহিদ ডিআইজি মামুন আহমেদ, শহিদ এসপি এম. শামসুল হক, শহিদ এসপি মুন্সি কবির উদ্দিন আহম্মেদ, শহিদ এসপি শাহ আব্দুল মজিদসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ১১ শতাধিক পুলিশ সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেন।
চট্টগ্রাম জেলায় কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার শহিদ এম. শামসুল হক, বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা (পুলিশ সুপার) শহিদ নজমুল হক পিপিএম, আরআই আকরাম হোসেন, কোতয়ালী থানার ওসি আবদুল খালেক, টিআই এম. নুরুন্নবী চৌধুরীসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮১ জন পুলিশ সদস্য সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহিদ হন।মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ বীর পুলিশ সদস্য ও প্রথম প্রতিরোধযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ “জাগ্রত’৭১” এ ২৬ শে মার্চ মঙ্গলবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, বিপিএম(বার), পিপিএম।
এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) প্রবীর কুমার রায়, পিপিএম (বার); অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম)মোঃ মাহফুজুর রহমান, আরআরএফ, চট্টগ্রামের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) শাহজাদা মো. আসাদুজ্জামানসহ, পুলিশ সুপার (অপারেশনস) (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)নেছার উদ্দীন আহমেদ, পিপিএম-সেবা; পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স)সফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।