নিয়ন রায়ের মা মুক্তা রানী সামান্য সেলাই মেশিন চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। অস্থায়ী বাসায় ২ সন্তান নিয়েই সেলাই মেশিন চালিয়েই চলে সংসার।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সরকারপাড়া মহল্লার নিয়ন রায় (১৫) কয়েক বছর পূর্বে গাছ থেকে পরে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ সময় তার বাম হাত ভেঙ্গে গেলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। রংপুরে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানায় তারা বাচার সম্ভাবনা খুবই কম, হাসপাতাল থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুনরায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে প্রায় ২ মাস যাবত অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। সে মুখ দিয়ে কিছু খেতে না পারায় তার নাকের ভিতর দিয়ে নল ঢুকিয়ে তরল খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
নিয়ন রায়ের মা মুক্তা রানী সামান্য সেলাই মেশিন চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। অস্থায়ী বাসায় ২ সন্তান নিয়েই সেলাই মেশিন চালিয়েই চলে সংসার। এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁওয়ে কোনমতেই তার জ্ঞান না ফেরায় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও সমাজের মানুষের কাছে সামান্য আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে নিয়নকে নিয়ে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে সেখানে তার মস্তিস্কে অস্ত্র পচার করা হয়। তার পরও সে সুস্থ না হলে পুনরায় ২০১৯ ও ২০২২ সালে আবারও অস্ত্রপচার করা হয়। বর্তমানে সাময়িক কিছুটা সুস্থ হলেও পুনরায় মস্তিস্কে সমস্যায় ভুগায় শারীরিক কষ্টে অবশ হয়ে পরেছে। পর পর তিনবার শিশুটির অপারেশনের পরেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তার মা সামান্য সেলাই মেশিন চালিয়ে ২ সন্তানের ভরন-পোষন, ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বর্তমানে সর্বশান্ত প্রায়। তাই তিন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবসহ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ৪/৫ লাখ টাকার প্রয়োজন।
নিয়নের মা মুক্তা রানী বলেন, আমি হতদরিদ্র মানুষ, সেলাই মেশিন চালিয়ে ২ সন্তানসহ সংসার চালিয়ে আসছিলাম। ইতিপূর্বে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ আশপাশের মানুষের কাছে সামান্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে তাকে ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসা খরচ করতে আমি সর্বশান্ত। আমার নিজস্ব বাড়ি ভিটা বা সামান্য জমি-জমাও নেই যে, বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসা করাবো। তার চিকিৎসা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তাই সমাজের বিত্তবান ও সমাজের সু-হৃদয়বান সকলের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি। নিয়ন রায়কে তার মায়ের মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭৮৪-৯১৯৩২৩ (বিকাশ) এর মাধ্যমে এবং অগ্রণী ব্যাংক লিঃ, ঠাকুরগাঁও শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরঃ ৩১৪১২ (০২০০০১২৪২৫১০৯) (মুক্তা রানী) এর মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা যাবে।