ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বিএনপি অফিসে হামলা, ভাংচুর করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। এ হামলায় বিএনপির ৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়ছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন-আব্দুল করিম মোল্লা (৩০), মাহামুদুল হাছান রিপন (৪০), নিরব মোল্লা (৩৮), এমরান লাট (৩০), শাহীন (৩৮) ও নাছির (৩৮)। এ ঘটনায় ভোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছে।
মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিক পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের হাওলাদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে স্থানীয় বিএনপি বাজারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিত্যাক্ত জায়গায় একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে বিএনপির অফিস পরিচালনা করে। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা ঘরটি দখল করে দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের অফিস চালায়।
৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি পূনরায় তাদের অফটি দখলে নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের আওয়ামী মৎসজীবি লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক সিডু মাঝির নেতৃত্বে আওয়ামী ক্যাডার ইসমাইল, ইউসুফ, ইউনুছ, ইব্রাহীম, নিজাম, আল আমিন, মনা, ও আক্তার অতর্কিতভাবে বিএনপি অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় ওই আওয়ামী ক্যাডাররা অফিসে থাকা জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর করে। অফিসে থাকা বিএনপি নেতা-কর্মীরা বাঁধা দিলে তাদেরকে বেধরক মারপিট করে। তাতে ৬ জন আহত আহত হয়। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পরপর ভোলা থানার ওসি তদন্ত সিরাজ ও সেকেন্ড অফিসার নাজমূল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রিপন মেলেটারী ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজল হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩০ বছর পূর্বে স্থানীয় সাধারণ মানুষ নিজেদের পকেটের টাকায় সরকারি খাস জমিতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এই অফিসটি তৈরী করে ব্যাবহার করে আসছে। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা সারে ৭ টায় হঠাৎ করে ওই আওয়ামীলীগের ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে মারধর করে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক সিডু মাঝিসহ অন্যদের একাধিকবার ফোন দিলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।