ভোলায় ফের দেখা মিলল রাসেল ভাইপার, জনমনে আতঙ্ক

শরীফ হোসাইন প্রকাশিত: ২২ জুন , ২০২৪ ১৫:৪৩ আপডেট: ২২ জুন , ২০২৪ ১৫:৪৩ পিএম
ভোলায় ফের দেখা মিলল রাসেল ভাইপার, জনমনে আতঙ্ক
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শান্তির হাট এলাকার চায়না ইপিজেড সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাসেল ভাইপারটিকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন সাপটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে।

ভোলায় ফের দেখা মিলল রাসেল ভাইপারের। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ভোলা সদর এবং তজুমদ্দিন উপজেলায় দেখা মেলে রাসেল ভাইপারের। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে রাসেল ভাইপার গুলো। প্রতিনিয়ত ভোলার বিভিন্ন এলাকায় বিষধর রাসেল ভাইপার দেখা মেলায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তির হা নামক এলাকার চায়না ইপিজেড সংলগ্ন এলাকায় দেখা মেলে একটি রাসেল ভাইপার। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ওই সাপটিকে পিটিয়ে মেরে মাটিতে পুতে ফেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শান্তির হাট এলাকার চায়না ইপিজেড সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাসেল ভাইপারটিকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন সাপটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে।

অন্যদিকে তজুমদ্দিন উপজেলায় দেখা গেছে ভয়ঙ্কর বিষধর রাসেল ভাইপার। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কাচারী বাড়ির দরজায় এলাকাবাসী দেখতে পায় রাসেল ভাইপারটি। এ সময় সাপটিকে পিটিয়ে মেরে মাটিচাপা দেন স্থানীয়রা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।

এর আগে, বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে চাঁদপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী ঘাট সংলগ্ন একটি ফসলি জমির খেলার মাঠে বল খেলতে দেখা মেলে সাপটির। স্থানীয় খেলোয়াড়দের সাপটি আক্রমণ করতে আসলে নিজেদের রক্ষা করতে সাপটিকে মেরে ফেলেন। পরে পলিথিন পেঁচিয়ে সাপটিকে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন।

রায়হান নামে এক খেলোয়াড় বলেন, বিভিন্ন সময় ফেসবুকে রাসেল ভাইপার সাপ দেখেছি। এবার বাস্তবে ফসলি জমিতে ফুটবল খেলতে গিয়ে সাপটিকে নিজ চোখে দেখলাম। পরে সাপটির ছবি তুলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শনাক্ত করি যে সাপটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার। সাপটি দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।আরো জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এই সাপের কামড়ে শরীরের দংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত ও কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।

তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ বনবিভাগের বিট অফিসার গাজী মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, রাসেল ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। বাচ্চা দেওয়ার কারণে হয়তো ওই সাপটি লোকালয়ে চলে এসেছে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo