বীরগঞ্জে মোবাইল কোর্টে অভিযান চালিয়ে ২শত ৭০ কেজি পিরানহার মাছ জব্দ

মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ প্রকাশিত: ২৭ জুন , ২০২৪ ১৭:৩০ আপডেট: ২৭ জুন , ২০২৪ ১৭:৩০ পিএম
বীরগঞ্জে মোবাইল কোর্টে অভিযান চালিয়ে   ২শত ৭০ কেজি পিরানহার মাছ জব্দ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ মাছের আড়ৎ-এ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহার মাছ জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন-২০২৪) বিকেলে মৎস্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের পরিচালনায় উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাট মাছের আড়ৎ-এ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ২ শত ৭০ কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়। মাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ মাছের আড়ৎ-এ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহার মাছ জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন-২০২৪) বিকেলে মৎস্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে  উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের পরিচালনায় উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাট মাছের আড়ৎ-এ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ২ শত ৭০ কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়। মাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হিমেল চন্দ্র রায়, মৎস্য বীজ উৎপাদন ও খাবার ব্যবস্থাপক মোঃ সামছুজ্জামান, ক্ষামার সহকারী মো: মমিনুর ইসলাম এবং উপজেলা মৎস্য অফিস সহকারী তপন কুমার রায়। 

জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহার মাছ আমদানি করে বিক্রির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন  ঐ বাজারে অভিযান চালায়। 

এ সময় কবিরাজহাটে আড়ৎদার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কালাম ও তার ছেলে মোঃ জসিমের ২শত ৭০ কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়  এবং জব্দকৃত মাছগুলো ১৪ টি এতিমখানায় মাঝে বিনামুল্যে বিতরণ করা হয়।  

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার হিমেল চন্দ্র রায় বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে বাংলাদেশ সরকারও  রাক্ষুসে স্বভাবের কারণে পিরানহার মাছ চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারে বিক্রি এবং বাজার থেকে ক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। 

তিনি আরও বলেন, পিরানহা একটা নিষিদ্ধ রাক্ষুসী মাছ। এটি দেখতে রুপচাঁদা মাছের মতো, তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা এটাকে রুপচাঁদা বলে বিক্রি করে।

পিরানহার মাছ খেলে মানব দেহের তেমন ক্ষতি হয় না। তবে পুকুর ও জলাশয় চাষ করে ওই বিচরণ করা হলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।১৯৫০ সালের আইন ৪ ধারা ও মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালার ১৯৮৫ এর আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে মাছগুলো জব্দ করা হয়।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo