আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দিন-রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৩০-৩৫টি বেপরোয়া ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক।
আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দিন-রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৩০-৩৫টি বেপরোয়া ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক। বালু ব্যবসায়ীরা মাটি ও বালু বহনের কাজে এসব ট্রাক ব্যবহার করছেন। এতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে গ্রামীণ সড়কের। বুধবার (১৫ জানুয়ারি ) সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদর ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে অবাধে চলছে ডাম্প ট্রাকগুলো। উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সড়কে দিনরাত চলছে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক। অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের কারণে সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢেপা নদীর সিন্ট ট্রাপ থেকে বালু পরিবহনের নামে এসব ট্রাক সড়কে ২৫-৩০ টন বালু নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে, যার কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে ফাটল ও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সড়কগুলোর স্থায়ীত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। জানা যায়, উপজেলার পাল্টাপুর সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার ঢেপা নদী,মোহনপুর কাশিপুর আত্রাই নদী,ভোগনগর, সাতোর ও সুজালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নদী থেকে ভেকু দিয়ে বলু উত্তোলন করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাটের কাজ করছে ট্রাকগুলো। এতে ওই এলাকার রাস্তায় অনেক জায়গায় ভাঙন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, নদী খননের বালু সমুহ ইজারার নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসনের যোগসাজশে ড্রেজার বসিয়ে কথিত টাউট বালু ব্যবসায়ীরা ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে অবৈধভাবে নদী গর্ভের বালু উত্তোলন, দিবারাত্রী ডাম্পট্রাকে পরিবহনের ফলে সরকারী কোটি কোটি টাকা মুল্যের নির্মিত রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট, সড়ক-মহাসড়ক ভেঙ্গে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। ডাম্প ট্রাকের চালক মো. মাঈনুল বলেন, ‘মহুগাঁও এলাকার নদীর খননকৃত বালু নিয়ে বোচাগঞ্জ গ্রামের এক ব্যক্তির জমি ভরাট করছি। এই সড়কে ডাম্প ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা আমার জানা নেই। মালিক আমাদের যে সড়কে গাড়ি চালাতে বলবেন, আমরা সেই রাস্তায় চালাব।’ ২৫ মাইল এলাকার সেলিম বলেন, ‘দিনে-রাতে এসব ডাম্প ট্রাক চলাচল করায় জনজীবন অতিষ্ঠ। ওভারলোড করে বালু পরিবহন করায় রাস্তার উপরে বালু পড়ে। রাস্তার পাশের বাড়িঘরে চলে যায় সেই বালু। প্রতিবাদ করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ডাম্প ট্রাকের চলাচল। এ বিষয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর গফুর বলেন, ‘ডাম্প ট্রাক চলাচলের বিষয়ে আমার জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী বলেন, ‘বীরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক চলাচলের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে অভিযান চালানো হবে।