বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কবলে কক্সবাজারে অতিষ্ঠ জনজীবন। কক্সবাজার সদরে শুরু হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। যার ফলে এই তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ভোর থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত অবদি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এ মহড়া চলছে। প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়ার মধ্যেই আছে বিদ্যুৎ।
কক্সবাজার সদরে পিএম খালী, খুরুশকুল, ঝিলংজার প্রতিটি এলাকায় ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকায় প্রায় প্রতি দেড় ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ আসে এবং মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর আবার চলে যায়।ঝিলংজা এলাকার বাসিন্দারা জানান, সারাদিন অফিসে কাজ করে রাতে ঘুমানোর সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে তীব্র গরমে ঘুম আসে না। যার ফলে পরদিন অফিসে গিয়ে কাজে মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। এ ছাড়াও বাসায় ছোট বাচ্চা গরমে সারারাত ঘুমাতে পারে না। দ্রুত এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।
কক্সবাজার সদরের টেইলার্স মালিকরা জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে উৎপাদন খরচ বাড়ছে এবং সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করতে পারলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফ্যাক্টুরি মালিকরা জানিয়েছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে, যা তাদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়িয়ে তুলছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- এর জেনারেল ম্যানেজার গোলাম আহমদ বলেন সারা দেশে কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় কক্সবাজারসহ সারা দেশেই লোডশেডিং বেড়েছে। কেরানীগঞ্জে বিদ্যুতের চাহিদা অত্যন্ত বেশি, কারণ এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক এবং বড় বড় হোটেল ও শিল্প কারখানা রয়েছে। আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছি, তা অনুযায়ী প্রতি দেড় ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছি। এ সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।