ফরিদগঞ্জে কেরোয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতার ফার্মের নার্সারি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। ফার্মের মালিক যুবদল নেতা আমিন মিজি। অভিযানের সময় আমিন মিজিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে প্রেস রিলিজ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলেছে, গাজার গাছ আলামত হিসেবে থানায় জব্দ করা আছে। এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। বৃহম্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আমিন মিজির ফার্মে গাঁজা গাছ চাষ করার বিষয়ে ফরিদগঞ্জ সেনা বাহিনীর ক্যাম্পে বিশস্ত সূত্রে খবর আসে। এতে, সেনা সদস্য ও পুলিশ ফোর্স ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামের আমিন মিজির মুরগির ফার্মের নার্সারিতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে তারা গাঁজার গাছের সন্ধান পান। কাছেই অভিযুক্ত আমিন মিজির বসত বাড়ি। যৌথ বাহিনী আমিন মিজিকে খুঁজে পায়নি। পরে, গাঁজার গাছ উদ্ধার করে তা আলামত হিসেবে ফরিদগঞ্জ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, ফার্মে অভিযান ও গাঁজার গাছ উদ্ধারের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ সেনা ক্যাম্প থেকে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে প্রেস রিলিজ পাঠানো হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু তাহের জানিয়েছেন, ফার্মটি সাবেক কাউন্সিলর আমিন মিজির। অভিযান পরিচালনার সময় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গাঁজার গাছ আলামত হিসেবে থানায় জব্দ আছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, আমিন মিজি যুবদল ফরিদগঞ্জ পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমিন মিজির মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। গতকাল বিকালে সরেজমিন ওই এলাকার বাসিন্দা ইসহাক মিয়া দোকানে বসা লোকজন বলেছেন, শুনেছি সেনা বাহিনী এখান থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধার করেছে।
যুবদল ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু ও পৌর কমিটির সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারি বলেছেন, যৌথ বাহিনী কর্তৃক গাঁজা গাছ উদ্ধারের ঘটনাটি নানা মাধ্যমে শুনেছি। যে কোনো অপরাধের বিষয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর পদক্ষেপের প্রতি আমাদের সম্মান ও সমর্থন আছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেছেন, ফার্ম থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।