ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকা চুরি

জাকির হোসেন সৈকত প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৫:৫৬ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৫:৫৬ পিএম
ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকা চুরি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বাসা থেকে টাকা চুরি করে উল্টো সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যেমে দালাল আখ্যা দিয়ে তার পরিবারকে প্রানসাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ভোক্তভুগি পরিবার। এ যেন খাল কেঁটে কুমির আনার মতন অবস্থা দেখা দিয়েছে পরিবারটিতে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বাসা থেকে টাকা চুরি করে উল্টো সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যেমে দালাল আখ্যা দিয়ে তার পরিবারকে প্রানসাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ভোক্তভুগি পরিবার। এ যেন খাল কেঁটে কুমির আনার মতন অবস্থা দেখা দিয়েছে পরিবারটিতে।

কোন উপায় না পেয়ে থানায় ও ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করে পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি উপজেলার ১০নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্ধপুর গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস পাটওয়ারীর সাথে।ঘটনার সূত্রে জানাযায়, গত ৫ মাস পূর্ব ৯নং গোবিন্ধপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের হানিফ দফাদার ছেলে আল আমিন কে সৌদি আরবে নিয়ে যান ইলিয়াস পাটওয়ারী। সেই খানে তার সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ঠিক করে দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীতে কাজ দেন আল আমিন কে। কিন্তু সে কিছু কোম্পানীতে দেড় মাস কিছু কোম্পানীতে ১৫দিন এই ভাবে চার টি কোম্পানী পরিবর্তন করে। কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও আল আমিনের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে তার হাতে ১হাজার রিয়েল দিয়ে দেন ইলিয়াস।

এদিকে ইলিয়াসের খালাতো ভাই হওয়া আল আমিন ইলিয়াসের বাসায় থাকতেন।সেই সুযোগে ইলিয়াসের বাসা থেকে বাংলাদেশী টাকায় ২ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায় আল আমিন। টাকা নেওয়া পর থেকে উল্টো সোশ্যাল মিডিয়া ফেইজবুকের মাধ্যেমে হুমকি ও দালাল আখ্যা দিয়ে থাকেন আল আমিন। জীবনের নিরাত্তার কারনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম।প্রবাসী ইলিয়াস পাটওয়ারী বলেন, আল আমিন আমার খালাতো ভাই লাগে। খালার অনুরোধে তাকে সৌদি আরব নিয়ে আসি। আমার বাসায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেই। আমি তার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র করে দেই। আল আমিনকে আমি ৪ টি কোম্পানিতে কাজের ব্যবস্থা করে দেই। কিন্তু কোথাও দেড় মাস কোথাও ১ মাস আবার কোথাও ১৫ দিন কাজ করে চলে আসে। তার কোন কাজ ভালো লাগেনা বলে চলে আসে। পরে বিষয়টি আমি আমার খালু ও খালাকে অবগত করি। পরে তাদের সাথে আলোচনা করে এবং স্থানীয় লোকজন নিয়ে আল আমি কে ১ হাজার রিয়েল দিয়ে দিলে সে অন্যত্রে কাজ খুজে নিবে বলে কথা দেন। আমি তাকে ১ হাজার রিয়েল দিয়ে দেই। সে রাতে আমার রুম থেকে আরো ৭ হাজার রিয়েল নিয়ে চলে যায়। এখন উল্টো আমার নামে সোশ্যাল মিডিয়া ফেইজবুকে দালাল ও প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।আমার ও পরিবারের নিরাপত্তার সার্থে থানায় ও ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করি।আল আমিনের পিতা হানিফ তফদার বলেন, আমি শুনেছি  বিদেশে তাকে মারধর করেছে। টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমি আল আমিনের সাথে আলোচনা করে আপনাদের জানাবো।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo