সরকারের পতনের দিন, চাটখিল পৌর শহরে ছাত্র জনতার আনন্দ মিছিল থানা আঙ্গিনায় প্রবেশ করার সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা থানায় পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় থানা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সরিয়ে পড়ে।
এ সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা, থানার সকল অস্ত্রশস্ত্র সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সরকারের ঘোষণার পর থানা পুলিশ কর্মস্থলে যোগদান করলেও পুড়ে যাওয়া থানা ভবনগুলো সংস্কার না করায়, থানা পুলিশ এলাকাবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না এবং থানা পুলিশ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ( ৫ আগস্ট) বিকেলে চাটখিল পৌর শহরে ছাত্র-জনতার একাধিক আনন্দ মিছিল বের হয়, এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পূর্বে কয়েক শত লোকের একটি মিছিল থানা আঙ্গিনায় প্রবেশ করে মিছিলে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা থানা ঘেরাও করে, থানার মূল গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে, থানা ভবনগুলো ভাঙচুর করে, ভবনগুলোতে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়।এসময় থানার পুলিশ নিজেদের আত্মরক্ষার্থে থানা আঙিনা ত্যাগ করে এসুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা থানায় থাকা সকল অস্ত্রশস্ত্র,কম্পিউটার সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশ জব্দ করা অনেকগুলো মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
সরকারের ঘোষণার পর পর্যায়ক্রমে সকল পুলিশ কর্মস্থলে যোগদান করে এবং অস্থায়ী থানা হিসেবে চাটখিল কারিগরি সরকারি স্কুল এন্ড কলেজে পুলিশ কার্যক্রম শুরু করে। কয়েক দিন পর সেখান থেকে থানা পুলিশ থানা ভবনে ফিরে এসে কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এখানে পুড়ে যাওয়া ভবনগুলো সংস্কার না করায় থানা পুলিশের কার্যক্রম চরম ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া থানা পুলিশের আবাসিক ভবনগুলোতে চরম দুর্ভোগে তারা জীবন কাটাচ্ছে। পুড়ে যাওয়া থানা ভবনগুলো সংস্কারের জন্য এখনও কোনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
থানা লুট হওয়া অস্ত্রগুলো অধিকাংশ জমা পড়লেও এখনো অনেকগুলো উদ্ধার হয়নি। চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক জানান অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্ধারও করা হয়েছে।থানা পুড়ে দেওয়ার দেড়মাস অতিক্রম হলেও থানা সংস্কার কার্যক্রম নাহওয়ার বিষয় জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান জানান সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।