১৫ বছরের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বাকৃবিতে গণতদন্ত

মোঃ আশিকুজ্জামান প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:০৫ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:০৫ পিএম
১৫ বছরের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বাকৃবিতে গণতদন্ত
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে এসব তথ্য জানা যায়। বাকৃবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত সাড়ে পনের বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘঠিত সকল প্রকার দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতন এবং আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে রিপোর্ট সুপারিশ প্রদানের জন্য গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানানো হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিগত সাড়ে ১৫ বছরে সংঘঠিত সকল প্রকার দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করার জন্য "বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গণতদন্ত কমিশন" গঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে এসব তথ্য জানা যায়। বাকৃবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত সাড়ে পনের বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘঠিত সকল প্রকার দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতন এবং আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে রিপোর্ট সুপারিশ প্রদানের জন্য গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানানো হয়।

বাকৃবির পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়াকে চেয়ারম্যান এবং এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম মুজিবর রহমানকে কো-চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারকে সদস্য সচিব এবং ময়মনসিংহের জজ কোর্টের এডভোকেট মো. খালেদ হোসেন টিপু উপদেষ্টা নির্বাচিত করার মাধ্যমে ওই কমিশনটি গঠিত হয়েছে।

এছাড়া আরো ২৩ জনকে সদস্য করে ওই কমিশনটি গঠিত হয়েছে। সদস্যরা হলেন- ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান প্রামানিক, বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. জোয়াদ্দার ফারুক আহমেদ, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম হারুন-অর রশিদ, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, সার্জারী এন্ড অবসটেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা, পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব আলম, গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব, প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিনারা খাতুন, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুনির হেসেন, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক-ই-রববানী, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান, কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুজ জামান ভূঁইয়া, ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ইকবাল, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক, কৃষিবিদ মো. ছরোয়ার হেসেন, কৃষিবিদ মোহাম্মদ শফিউল্যাহ ও কৃষিবিদ ড. ফারুক আহমেদ।

এ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনটির বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর সংঘটিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি, ইভটিজিং, গেষ্ট রুম টর্চার, সিট বানিজ্য, চাঁদাবাজি, আর্থিক দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও সংঘঠিত হত্যাকান্ডের অনুসন্ধানসহ ৭ টি কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়।এ বিষয়ে গণতদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোপূর্বে যত অপকর্ম হয়েছে সকল কিছুর সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে এবং ওই অপকর্মসমূহ যাতে পরবর্তীতে আর সংঘটিত না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo