পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে আধুনিকতার ছোয়া

প্রতীক চন্দ্র মন্ডল প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:২২ আপডেট: ৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:২২ এএম
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে আধুনিকতার ছোয়া
দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক একটি নির্দশন যা নওগাঁ জেলার রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি দর্শন করতে দেশি বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু বৌদ্ধবিহারে যেতে হয় সরু এবং ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে যা পর্যটকদের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠে়,,,দেশি বিদেশি দূর্ভোগে পড়তে হয় এই রাস্তা দিয়ে যেতে।তাই বৌদ্ধবিহারে যাওয়া সকল পর্যটক চায় সড়কটিকে আধুনিক মহাসড়কে রুপান্তর করা হোক।পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা কে আধুনিকায়ন করার বিকল্প নেই।

দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক একটি নির্দশন যা নওগাঁ জেলার রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি দর্শন করতে দেশি বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু বৌদ্ধবিহারে যেতে হয় সরু এবং ঝুঁকিপূর্ণ  রাস্তা দিয়ে যা পর্যটকদের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠে়,,,দেশি বিদেশি দূর্ভোগে পড়তে হয় এই রাস্তা দিয়ে যেতে।তাই বৌদ্ধবিহারে যাওয়া সকল পর্যটক চায় সড়কটিকে আধুনিক মহাসড়কে রুপান্তর করা হোক।পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা কে আধুনিকায়ন করার বিকল্প নেই। 

সেই প্রয়োজনীয়তার দিক বিবেচনা করেই নওগাঁ সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, "ইতিমধ্যেই জয়পুরহাট মহাসড়ক থেকে বৌদ্ধবিহারে আসার জন্য আধুনিক মানের একটি সড়ক নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই সড়কটি প্রধান সড়ক থেকে বৌদ্ধবিহার পশ্চিম-উত্তর দিকে যুক্ত হবে। আর এই সড়কের মাধ্যমেই পর্যটকরা বৌদ্ধবিহারে শতাধিক বছরের আগের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করে দর্শন করবেন নিদর্শনটি।নতুন সড়কের সংযোগস্থলে থাকবে পর্যাপ্ত গাড়ি, পার্কিং সুব্যবস্থা, পরিবেশবান্ধব ও রুচিশীল ক্যাফেটেরিয়া, চলাচলের জন্য ফুটপাত,মার্কেট,চালক ও ভি.আই.পিদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা সহ সকল আধুনিক সুবিধা থাকবে। 

বিহারে ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচশ মিটার দৈঘের একটি আধুনিক মানের সড়ক নির্মাণের সকল প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। সড়ক নির্মার্ণের জন্য জমি অধিগ্রহণ আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করছেন বিহারটির কতৃপক্ষ।তবে,যত তাড়াতাড়ি জমি অধিগ্রহণ পাওয়া যাবে তত দ্রুতই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আরো জানিয়েছেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই আধুনিক  যোগাযোগ  সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্য, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিহার এই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। এর আদি নাম সোমপুর বিহার /মহাবিহার। পাল শাসনামলের প্রথম রাজা গোপালের পুত্র ধর্মপাল(৭৮১-৮২২)সোমপুর বিহার প্রতিষ্ঠা করেন।

এটি পাল রাজত্বের আবাসস্থল এবং সেই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা পড়াশোনা করতো। বিহারটিতে সর্বমোট ১৭৭ টি ঘরে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বাস করতেন। গ্রামের মধ্যে প্রায় ০.১০ বর্গকিলোমিটার (১০ হেক্টর) অঞ্চলজুড়ে এই পুরাকীর্তি টি অবস্থিত।১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়
এখানে সারাবছর দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।

বিহারটিকে পর্যটকবান্ধব, রুচিশীল ও আধুনিকতার ছোয়া দিতে  সরকারের পক্ষ থেকে নানা সৌন্দর্যবর্ধন করতে নানা ধরনের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। 
প্রধান সড়ক থেকে বৌদ্ধবিহারে আসার একটি আধুনিক সড়ক না থাকার কারনে প্রতিনিয়তই চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় দর্শনার্থীদের। এছাড়াও সরু রাস্তায় রয়েছে প্রায় ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ  বাঁক যা প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি করে,এতে পর্যটকদের যানবাহন অনেকটা দূরে রেখে হেটে আসতে হয়।এমতাবস্থায় রাস্তায় প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে।এমন রাস্তার বেহাল দশার কারন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মুখে অভিযোগ শোনা যায়। একটি আধুনিক মানের প্রশস্ত সড়কের অভাবের জন্য পর্যটকদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo