পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি)’র কর্মকর্তার হাতে আবারও শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা প্রোভিসির পিও শামসুল হক রাসেলের বিচারের দাবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
পরে বেলা ১২ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিবাদ ও নিন্দা মিছিল বের হয়। এর আগে শনিবার রাত ৯টায় পবিপ্রবি’র শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত কৃষিকুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক সমিতির কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত রাসেল শনিবার তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং উপস্থিত অন্য শিক্ষকদের সামনেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ছাড়া পরবর্তীতে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী শিক্ষকের ওপর জীবননাশের হুমকি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগপত্রে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা শামসুল হক (রাসেল) বলেন, ওই শিক্ষকের সঙ্গে আমার শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ বলেন, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক আমাকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জানান, দাপ্তরিক কাজে তিনি বর্তমানে ঢাকায় অব¯’ান করছেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যব¯’া নিতে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, বারবার শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নিকট লিখিত অভিযোগে ফুড এন্ড নিউট্রেশন সায়েন্স অনুষদের পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি এন্ড মার্কেটিং বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষক নজর“ল ইসলাম দাবি করেন, রাসেল শনিবার(১৭ফেব্রæয়ারী) কৃষিকুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ এবং উপ¯ি’ত অন্য শিক্ষকদের সামনেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরবর্তীতে সে (রাসেল) তাকে জীবননাশের হুমকিও দেয়। অপর দিকে ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন মাস্টাররোল কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক ওরফে রাসেল মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃআনোয়ার হোসেন মন্ডলকে লাঞ্ছিত করছেন। এছাড়াও মাসে ৪৫ দিনের বেতন নেওয়া, নিয়মিতভাবে অফিস না করাসহ নানা বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।