রাসেল ভাইপার '' জীব বিজ্ঞানীদের ভাষায় জঘন্যতম বিষধর প্রজাতীর সাপ এই রাসেল ভাইপার । এই সাপের বিষ এতো দ্রুত ছড়ায় যে, আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার সময় পর্যন্ত পাওয়া যায় না। সবচেয়ে বড় কথা, এই সাপের বিষের কোন ঔষুধ বা প্রতিষেধক আমাদের দেশে নাই।
সুতরাং রাসেল ভাইপারের কামড় মানে নিশ্চন্ত মৃত্যু। এই বিষাক্ত সাপের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ১০০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে রাসেলের অস্তিস্থ ছিলো কিন্তু এই বিলুপ্ত হওয়া এই সাপ আবারো বাংলার বুকে কোথা থেকে এসেছে এর তথ্য দেখা যায়, পশ্চিমা কোন দেশ থেকে সাগরে ভাসতে ভাসতে রাসেল বাংলাদেশের বরিশাল, ভোলা, নোয়াখানী ও চট্রগ্রামের উপকুলীয় অঞ্চলে আসে এবং ঐ এলাকাগুলোতেই এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
রাসেল ভাইপারের প্রজনন নিয়ে চিৎকার তথ্য পাওয়া গেছে। সাধারণতঃ অন্যান্য সাপের প্রজনন হয় ডিম থেকে অথচ এই রাসেল ভাইপার সারাসরি বাচ্চা প্রসব করে এবং একসাথে ৮০ টা পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে থাকে, যাতে দ্রুততার সাথে তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটে।
এদের আবাসস্থল হিসেবে, এরা ঘর-বাড়ী, বিশেষ করে রান্নার ঘর ও রান্না করার চুলা সহ পাকের ঘরের আশে- পাশের ঝোপঝাড়ই কে বেশি পছন্দ করে থাকে। সুতারাং সাবধনতার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের ভিটা- বাড়ী পরিস্কার রাখার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন প্রাণী বিভাগ। পাশাপাশি রাসেল ভাইপারকে প্রতিরোধ করার জন্য জনসচেনতামূলক কার্যক্রম ও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বলে সরকারী বিভিন্ন তথ্য জানা গেছে।