নিয়ামতপুরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন কৃষকরা

সবুজ সরকার প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারী , ২০২৪ ১১:০৫ আপডেট: ৪ জানুয়ারী , ২০২৪ ১১:০৫ এএম
নিয়ামতপুরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন কৃষকরা
গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেঁকে শীত পড়েছে। এতে জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে কৃষকদের আবাদি ফসলের প্রন্তুতি নিতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে।

গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেঁকে শীত পড়েছে। এতে জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে কৃষকদের আবাদি ফসলের প্রন্তুতি নিতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে।

আর কিছুদিন পরই বোরো আবাদ পুরোদমে শুরু হবে  উপজেলা জুড়ে। তার আগে ধানের চারা পরিচর্যার কাজে নেমে পড়েছে  কৃষকরা। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন কৃষকরা। ফলে বীজতলা রক্ষা পাবে বলে জানান কৃষকরা। তারা বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা হলদে ও লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।

তাই বীজ রক্ষায় কৃষকরা বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন যেন তা নষ্ট না হয়। কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা তাদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন বলে জানান।

উপজেলার ভাবিচা গ্রামের কৃষক রসময় প্রামানিক জানান, এবার তিনি ১৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করবেন। তার জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলাকে রক্ষা করার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। 
একই গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল সরকার জানান, বীজ ফেলার আট দিন পরে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে আর ২২ দিন পরে পলিথিন তুলে ফেলতে হবে। এতে করে বীজতলায় কোন রোগবালাইয়ের আক্রমণ হবে না। রোপণের জন্য ভালো বীজ পাওয়া যায়। পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখায় কোন কীটনাশকও দিতে হয় না। তাই বাড়তি কোনো খরচও হয়না।

নিয়ামতপুর  উপজেলা কৃষি কামরুল হাসান
বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা বড় হতে পারে না, সেইসঙ্গে হলদে ও লাল হয়ে মরে যাওয়ার পাশাপাশি পচে যায়।
তিনি বলেন, যদি পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা হয় তাহলে বোরো বীজ নষ্ট হবে না, বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo