পুকুরের মাটিতে পাওয়া ‘অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ’ নিয়ে চাঞ্চল্য, হেফাজতে নিলো প্রশাসন

বিপ্লব কুমার দাস প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল , ২০২৪ ১০:৫৩ আপডেট: ২৯ এপ্রিল , ২০২৪ ১০:৫৩ এএম
পুকুরের মাটিতে পাওয়া ‘অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ’ নিয়ে চাঞ্চল্য, হেফাজতে নিলো প্রশাসন
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রামের খনন করা পুকুরের মাটিতে কালো পাথরের একটি মূর্তি পাওয়া গেছে। ওই মূর্তিটির ওজন ৫৬০ গ্রাম। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রাম গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করেন। মূর্তিটি জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হয়েছে।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রামের খনন করা পুকুরের মাটিতে   কালো পাথরের একটি মূর্তি পাওয়া গেছে। ওই মূর্তিটির ওজন ৫৬০ গ্রাম। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রাম গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করেন। মূর্তিটি জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস ধরে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের  কাশিড়া ঘোষপাড়া কালিতলা পুকুরের খনন কাজ চলছে। ওই পুকুরের মাটি একই গ্রামের বেলি বেগম নামে নারী কিনেন।  তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় পুকুরের কেনা মাটিগুলো বিছিয়ে দেয়ার সময় বেলি বেগম একটি পাথরের মূর্তি পান। তিনি মূর্তিটি স্থানীয় কারিগর বিনয়কে দেখান। বিনয় মূর্তিটি তার কাছে রেখে দেন। এ ঘটনাটি শনিবার সকালে জানাজানি হয়। খবর পেয় সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ইউএনও কাছে মূর্তিটি হস্তান্তর করা হয়। 

ইউএনও মনজুরুল আলম জানান, কালো পাথরের ওই মূর্তিটির বাম পাশে কিছু অংশ ভেঙে গেছে। মূর্তিটির ওজন ৫৬০ গ্রাম ও উচ্চতা ৬ দশমিক ২ ইঞ্চি। মূর্তিটি কোন ধরণের পাথরের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মূর্তিটি জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বেলি বেগম বলেন, আমি বিপ্লব সাখিদারের কাছ থেকে পুকুরের মাটি কিনেছিলাম। ওই মাটি থেকে কালো একটি পাথরের মূর্তিটি পেয়ে স্থানীয় কারিগর বিনয়কে দিয়েছিলাম। প্রশাসন এসে আজকে মূর্তিটি নিয়ে গেলেন।

কারিগর বিনয় বলেন, মূর্তিটি পাওয়ার পরে আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। এটা সাধারণ পাথরের শিব-পার্বতীর মূর্তি বলে মনে হচ্ছে। পরে প্রশাসনকে মূর্তির পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। আজকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, শনিবার সকালে বিষয়টি জানার পর মূর্তিটি নিরাপদ হেফাজতে নেয়া হয়। পরে ইউএনও স্যারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টডিয়ান ফজলুল করিম বলেন, এটি একটি দুর্লভ মূর্তি বলে মনে হচ্ছে। আমাদের জাদুঘরে এ ধরণের কালো পাথরের মূর্তি নেই। মূর্তিটিতে পোড়া মাটির টেরাকোটা আছে। এটি একটি অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo