নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা, চালু করা ব্যয় বহুল

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর , ২০২৪ ০০:০৩ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর , ২০২৪ ০০:০৩ এএম
নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা, চালু করা ব্যয় বহুল
নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা, চালু করা ব্যয় বহুল

যশোর পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (শোধনাগার) ৩৯ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আয়রণ মুক্ত পানি সরবরাহের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়। ফলে এখন মানুষকে আয়রনযুক্ত সাপ্লাই পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এটির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও চালু করা ব্যয় বহুল হওয়ায় সংস্কার করা হয়নি বলে জানান পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে এটি নির্মাণ করা হলেও বর্তমান কর্মকর্তা এটি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি।পৌরসভা সূত্র জানায়, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়রন রিমুভার প্লান্ট প্রকল্পের আওতায় ১৯৮৫ সালের দিকে তিনটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়  ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তিনটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হয় শহরের সিটি কলেজপাড়া, পালবাড়ী, রেলগেট তেঁতুলতলায়। গভীর নলকুপের পানি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো। রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে এটি পরের বছর অকেজো হয়ে গেছে। মেরামত খরচ ব্যয় বহুল হওয়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে এটি সচল করা হয়নিপৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী (পানি) কামাল আহমেদ জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশ অধিদপ্তর। মারুফুল ইসলাম পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর পানি শাখার আলাদা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (শোধনাগার) পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। যখন এটি হস্তান্তর করা হয় তখনই অকেজো ছিল। পরবর্তীতে মেরামত করে চালু করা হয়নি। এখন শুধু অবশিষ্ট রয়েছে মটরসহ যন্ত্রাংশ। কিছু জিনিস চুরি হয়ে গেছে। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট মেরামত খরচ ব্যয় বহুল হওয়ায় মেরামত করা হয়নি। পৌরসভার পানি শাখার সুপারভাইজার ইসহাক হোসেন জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের (শোধনাগার) মাধ্যমে তিন এলাকার ছয়টি পাম্পের আয়রন মুক্ত পানি সরবরাহ করা হতো। কিন্তু  এটি রক্ষনাবেক্ষনে অনেক টাকা ব্যয় হতো। এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মেরামত করা হয়নি। তবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে সচল থাকলে ভালো হতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিনিয়ত পানি সরবরাহের ফলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ফিল্টারে ময়লা পড়ে। অনেক দিন ব্যবহারের করাই ফিল্টার নষ্ট হয়ে যায়। এটি পরিবর্তন করা লাগে। সেই সাথে কেমিক্যাল দিয়ে পাইপ পরিষ্কার করতে হয়। এর কোন কাজ না করাই নষ্ট হয়ে গেছে। রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে এর কিছু যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। এটি মেরামত খরচ ব্যয় বহুল হওয়ার কারণে মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মটরসহ কিছু যন্ত্রাংশ পড়ে রয়েছে।এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ পারভেজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সম্পর্কে জানেন না। এ বিষয়ে জেনে বলতে হবে।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo