নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্ত্রী, সন্তানদের সামনে ১ব্যক্তিকে গুলি ও পিটিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা

আমজাদ হোসেন প্রকাশিত: ৯ জুন , ২০২৪ ০৯:৩৭ আপডেট: ৯ জুন , ২০২৪ ০৯:৩৭ এএম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্ত্রী, সন্তানদের সামনে ১ব্যক্তিকে গুলি ও পিটিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা
জানাজা শেষে বন্দরের মুরাদপুর এলাকায় তার নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তাদের নিয়ে অবস্থান করে। বাড়িতে থাকার খবর পেয়ে গত শুক্রবার ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০-১২জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা মনুর ঘরে ঢুকে তাকে টেনে হেচড়ে করে উঠানে এনে মাথায় পিস্তুল ঠেকিয়ে গুলি করে মাটিতে ফেলে এবং একজন তার মাথায় বসে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ সময় নিহত মনুর মেয়ে মীম আক্তার মোবাইল দিয়ে একটি ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে। যা পরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্ত্রী, সন্তানদের সামনে মনিরুজ্জামান মনু (৪২) নামে ১ব্যক্তিকে গুলি ও পিটিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। যার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিত মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্দর থানার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুর এলাকার এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরুজ্জামান মনু মুরাদপুর গ্রামের মৃত কামালুউদ্দিনের ছেলে।  

হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা। 

নিহতের ভাগিনা মাহমুদুর হাসান রানা জানান, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আমার মামা মনিরুজ্জামান মনুকে সন্ত্রসীরা প্রথমে তার মাথায় গুলি করে এবং পরে তার সমস্ত শরীরে এলোপাতারীভাবে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মনু গাজীপুরের কাপাসিয়ায় তার শ^শুরবাড়িতে বসবাস করতো। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নে কুতুবপুর গ্রামে তার মামি মারা গেলে জানাজায় অংশ নিতে রাতে নারায়ণগঞ্জ আসে।

জানাজা শেষে বন্দরের মুরাদপুর এলাকায় তার নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তাদের নিয়ে অবস্থান করে। বাড়িতে থাকার খবর পেয়ে গত শুক্রবার ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০-১২জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা মনুর ঘরে ঢুকে তাকে টেনে হেচড়ে করে উঠানে এনে মাথায় পিস্তুল ঠেকিয়ে গুলি করে মাটিতে ফেলে এবং একজন তার মাথায় বসে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ সময় নিহত মনুর মেয়ে মীম আক্তার মোবাইল দিয়ে একটি ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে। যা পরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে নিহত মনিরুজ্জামানের ছেলে মিনহাজ বলেন, এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল আমার বাবাকে ঘর থেকে টেনে বের করে। এরপর তারা বাবার শরীরে গুলি চালায় ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসীরা তাকে নিথর অবস্থায় ফেলে যাওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মনিরুজ্জামানের পরিবারের আরও তিন সদস্য প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেছেন। তারা হলেন নিহত মনুর ভাই নুরুজ্জামান নুরা, বাবুল আক্তার ও বড়বোন নিলুফা। এলাকায় সুবিধা করতে না পেরে কয়েক বছর ধরে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে সে বসবাস করতেন। 

ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে একই এলাকার আরেকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo