আর কোন জালেম সরকার যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই চেষ্টা করতে হবে, নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাঁচ শহিদ পরিবারের মধ্যে চার পরিবারে আর্থিক সহয়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এই সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সকল শহিদের পরিবারে কাছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সহযোগিতা নিয়ে পৌঁছে যাবে।২২ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর শহরের বড় হরিশপুরে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে শহীদদের স্বজনদের হাতে সহয়তা তুলে দেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
সহয়তা প্রদান অনুষ্ঠানে নাটোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপত্বিতে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগর আমির মাওলানা ড.কেরামত আলী, রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমির আবু জাফর গিফারী, নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান ও অধ্যাপক মোঃ ইউনুছ আলীসহ জেলার জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশে একটা জালিম সরকার দীর্ঘ সময় ধরে জুলুম চালিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং মানুষের স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছে। দেশটাকে পরাধীন করার জন্য এখনো ষড়যন্ত্র করে চলেছে। মানুষ ক্ষিপ্ত ও ছাত্ররা সহ্য করতে না পেরে সকলে মিলে এ সরকারকে বিদায় দেয়ার জন্য রাস্তায় নেমে ছিলো।
এ আন্দোলনে যারা জীবন দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন তারা শহিদ বলে দাবি করেন আমির। নাটোরের ৫ শহীদের মধ্যে নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার শরিফুল ইসলাম মোহন, মল্লিকহাটি এলাকার ইয়াসিন আলী, বউ বাজার এলাকার মেহেদি হাসান রবিন ও নাটোর সদর উপজেলার তালতলা হাফরাস্তা এলাকার শাওন খান সিয়াম। প্রতিটি পরিবারকে এক লাখ টাকা করে সহয়তা প্রদান করা হয়। পরে নেতৃবৃন্দ নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খানের একমাত্র ছেলে শহীদ মিকদাদ হোসেন খান আকিব এবং অপর শহীদ শরিফুল ইসলাম মোহনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান দোয়া পরিচালনা করেন।