রাজবাড়ীতে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, হত্যা, নির্যাতন, মন্দির ও বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীসহ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ৮ দফা দাবীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে রোববার (১১ আগষ্ট) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা শহরের পান্না চত্ত¡রে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত সনাতন সম্প্রদায়ের সকলে সমবেত হয়। পরে বিক্ষোভ সহকারে মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভপতি ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদিপ্ত কুমার চক্রবর্তী কান্ত, বাংলাদেশ হিন্দু বৈধ্য খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল কুমার চক্রবর্তী প্রমূখ। এছাড়া এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত সহস্রাধিক সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষাকমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংগঠিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবী জানান।বক্তারা বলেন, এই দেশ আমাদের। আমাদের জন্মভূমি। এখানেই বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি। এই দেশ ছেড়ে আমরা কোথাও যাব না। অথচ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করছে, ধর্ষণ করছে, হত্যা করছে।
প্রতিনিয়ত দখলদারি, চাঁদাবাজি চলছে। আমাদের রাজবাড়ীতেও চাঁদাবাজি, ডাকাতি হচ্ছে। দেশ চলছে প্রশাসন ছাড়া। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আমরা শীঘ্রই আরো কঠোর কর্মসূচি দিব।পরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান এর সাথে স্বাক্ষাত করে সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রাজবাড়ী জেলার যেখানে নৈরাজ্য চলছে তা বন্ধের দাবী জানান।
এ সময় জেলা প্রশাসক সনাতনী নেতৃবৃন্দকে অভয় দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে কাজ বসবাসের কথা জানান। জেলার কোথাও কোন নৈরাজ্য চললে তাৎক্ষণিক তাঁদেরকে জানানোর কথা বলেন।পরে জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ আবারও নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমরা কোথাও কোন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।