মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি বলেছেন, সারা দেশে তরুনসহ বিভিন্ন বয়সের ১ লাখ ২৫হাজার মানুষ মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়েছে। কৌতুহল ও শকের বসে এর সাথে জড়িয়ে পড়েছে। মাদকদ্রব্য স্পর্শ না করলে গড ফাডার ১২ ৬ন। ১ হাজার ২৬৮ জন মাদকের বড় ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা শরীরের মধ্যে সহ বিভিন্ন নতুন নতুন কৌশলে মাদকদ্রব্য পাচার করে, সীমান্ত চেক পোষ্ট জোরদার করা হলেও মাদক পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। এজন্য পরিবার থেকে মাদক প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্তানের পতি খেয়াল রাখতে হবে, সে যেন মাদকে আসক্ত না হয়। যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। তিনি আরো বলেন, কোন পরিবারের সন্তান যদি মাদকের নেশায় জড়িয়ে পরে, তাহলে ওই পরিবারের ধন সম্পত্তি কোন কাজে আসবে না। মাদকদ্রব্য থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে। সমন্বিত ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে মাদকদ্রব্য পাচার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুর রহমান, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার। যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত যশোরে ১৫০১টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময়ে মামলা হয়েছে ৪৫৭টি। ২৮৫ বারমোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয় । ৪৭৪ আসামীর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৩৬ জন, ৩৮ জন পলাতক রয়েছে। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে ৯১ কেজি ৩৩০ গ্রাম গাঁজা, ৪ হাজার ৩৩ পিস ইয়াবা, ১ হাজার ৪৪৩ বোতল ফেনসিডিল, তাড়ী ৩২০ লিটার, ৩২.২ লিটার স্পিরিট, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৯০ পিস, বিদেশী মদ ১২ বোতল, হেরোইন ৩ গ্রাম, গাঁজাগাছ ১টি, মোবাইল সেট ৩টি ও নগদ অর্থ ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭০০ টাকা। সেই সাথে যশোরে ২ হাজার ৪১৩ টি বিচারাধীন মামলা রয়েছে । এর মধ্যে রায় হয়েছে ৫০০টি মামলার। ১৯২টি সাজা হয়েছে এবং ৩১৬টি মামলায় খালাস দেয়া হয়েছে । সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভুঁইয়া, কর্মসংস্থন ও জনশক্তি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর বাবু, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন, সরকারি সিটি কলেজের প্রভাষক আব্দুর রহিম প্রমুখ। পরিচালনা করে যশোর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ।