জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ছাত্রশিবিরের

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১ জুন , ২০২৫ ১৩:১২ আপডেট: ১ জুন , ২০২৫ ১৩:১২ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ছাত্রশিবিরের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত সরাসরি ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যতিক্রমী মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শুক্রবার সকাল থেকেই নরসিংদী শহরের চারটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় গড়ে তোলা হয় শিবিরের ‘হেল্প ডেস্ক’। দায়িত্বশীল তরুণরা প্রতিটি কেন্দ্রে সিট প্ল্যান অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের কক্ষ খুঁজে দিতে সহযোগিতা করেন।
শুধু দিকনির্দেশনা নয়, ছিল আরও অনেক কিছু— ব্যাগ ও মোবাইল রাখার নিরাপদ ব্যবস্থা, কলম ও স্যালাইন বিতরণ, বিশুদ্ধ পানির জোগান—সবই একেবারে বিনামূল্যে, আন্তরিকতার সাথে।
এই সহায়তা যেন ছিল অস্থির সময়ের শান্ত ভরসা।
ছাত্রশিবিরের এই কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নরসিংদী জেলা সেক্রেটারি তাওহীদুল ইসলাম।
তার নেতৃত্বে জেলা, সরকারি কলেজ, পলিটেকনিক, জামেয়া, পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক মাঠে সক্রিয় ছিলেন।
জেলা প্রচার সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম প্রধান বলেন, “শিক্ষার্থীরাই একটি জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব—এটিই আমাদের ছাত্র রাজনীতির চেতনা।”
তিনি দেশের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের প্রতিও শিক্ষার্থীবান্ধব এমন উদ্যোগে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির মধ্যে ছিলেন- জেলা অর্থ সম্পাদক হাফেজ শাহিন, এইচআরএম সম্পাদক হোসেন ফারুক, সরকারি কলেজ সভাপতি আরিফ মাহমুদ, জামেয়া সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, আবাসিক সভাপতি আবু বকর, পৌরসভা সভাপতি হুসাইন আহমাদ, পলিটেকনিক সভাপতি আরিফ বিল্লাহ, এছাড়া আরও অনেকে ছিলেন নীরবে অবদান রাখা কর্মীবৃন্দ।
এক পরীক্ষার্থী অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “ভয় হচ্ছিল—ঠিকমতো হলে না ঢুকতে পারলে কী হবে! শিবির ভাইয়াদের সহায়তা না পেলে হয়তো পরীক্ষা দিতেই পারতাম না।”
এই উদ্যোগ আবারও স্মরণ করিয়ে দিল—ছাত্র রাজনীতি কেবল মতাদর্শ প্রচার নয়, মানবিকতা, সহানুভূতি এবং দায়িত্ববোধেরও নাম।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সে বার্তাই পৌঁছে দিয়েছে পরীক্ষার্থীদের চোখে-মুখে, আচরণে ও অভিজ্ঞতায়।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo