শীত এলেই গ্রাম বাংলার বাড়িতে-বাড়িতে ধুম পড়ে মুখরোচক বিভিন্ন পিঠা তৈরির। তবে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা সেই পিঠার স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকেন ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষরা।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সান্তাহারে স্টেশনে সেসব মানুষের মুখে পিঠা তুলে দিতে এবং শীতকে স্বাগত জানাতে সোমবার রাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে গরীবের রাজা নামে পরিচিত এক বেক্তি।
সান্তাহার জংশন স্টেশন প্লাটফর্মে এ আয়োজনে অর্ধশতাধিক ছিন্নমূল শিশু ও ছিন্নমূল মানুষকে গরম গরম চিতই, কুসলি পিঠা, তেলের পিঠা ও ভাপাসহ নানা রকম পিঠা খাওয়ানো হয়।
পিঠা খেতে আসা এক নারী বলেন, আমাদের ঘড় বাড়ি নাই। সারাদিন ট্রেনে ভিক্ষা করে রাতে স্টেশনে ঘুমাই। দুবেলা খাবার জোগাড় জোটে না পিঠা খাওয়াত স্বপ্নের মত। এর আগের বছরও রাজা ভাই শীতের পিঠা খাওয়াছে এবারও খাওয়ালো।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সাগর খান বলেন, করোনাকালিন সময় থেকেই আজিজুল হক রাজা ছিন্নমূল মানুষদের তিন বেলা খাওয়ানো শুরু করেন। পাশাপাশি ছিন্নমূল মানুষদের পাশে থাকেন তিনি। করোনার সময় তিনি প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ছিন্নমূল মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতেন। করোনা চলে গেলেও ছিন্নমূল মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা কমে নাই৷ তিনি এখনো প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ছিন্নমূলকে তিন বেলা খাবার দেন। আর এইসব ছিন্নমূলদের দেওয়া নাম থেকেই তার নাম হয়েছে গরীবের রাজা।
গরীবের রাজা নামে খ্যাত আজিজুল হক রাজা দেশ রূপান্তর'কে বলেন আমি অসহায় মানুষকে একমুঠো খাবার তুলে দিলে তৃপ্তি পায়। আমি নিজ উদ্যোগে এইসব ছিন্নমূল মানুষদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আর শহরের ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষগুলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠা খেতে পায় না। তাই এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ও শীতকে স্বাগত জানাতে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি।