চোর সন্ধেহে এক কিশোরকে বেধড়ক মারধর হাসপাতালে ভর্তি

জাকির হোসেন সৈকত প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর , ২০২৩ ১৩:৪৫ আপডেট: ১৫ নভেম্বর , ২০২৩ ১১:০৩ এএম
চোর সন্ধেহে এক কিশোরকে বেধড়ক মারধর হাসপাতালে ভর্তি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চোর সন্ধেহে এক কিশোরকে বেধড়ক মারধর করেছে ১৫ থেকে ২০ জন লোক। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে কিশোরটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চোর সন্ধেহে এক কিশোরকে বেধড়ক মারধর করেছে ১৫ থেকে ২০ জন লোক। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে কিশোরটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছে।

উক্ত বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। ঘটনার সূত্রে জানা যায়,  গ্রামের আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে রাকিব হোসেন(১৪) গত ১২ নভেম্বর রবিবার রাতে এশার নামাজের পরে স্থানীয় ১৫ থেকে ২০জন ছেলে মিলে রাতের আধাঁরে গরু চুরি করতে গিয়েছে অভিযোগ তুলে গাছের সাথে বেঁধে  মারধর করে।

এ সময় রাকিবের হাত পা বেঁধে রাখে যাতে করে সে পালিয়ে যেতে না পারে। তিন দফায় মারধর করার পর তাকে বেঁধে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। এ সময় থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। রাকিব হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধিন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান পরিবারের লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদ পাটওয়ারী ও বিল্লাল খাঁন বলেন, আমরা নামাজ পড়ে দোকনে কাছে বসে ছিলাম। এমন সময় রোকন ও গাপ্পার সহকারে আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন রাকিব কোথায়।

আমরা বলেছি সামনের দিকে আছে তারা দৌড়ে গিয়ে রাকিবকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করে। এ সময় চতুরদিক থেকে অনেক লোকজন এসে তাকে মারধর করতে থাকে। এমন মারধর করেছে আমরা মনে করেছি সে বুঝি মারা গেছে, তাই আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাই। অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা গরু চুরি করতে দেখিনি। কিন্তু তারা বলেছে সে নাকি গরু চুরি করতে গেছে। গরুর খামারের মালিক শফিকুর রহমান বলেন, আমি নামাজ পড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় দেখি আমার গরুর ঘরের সামনের দরজা আগের মতন বাঁধা নেই। আমি  লাইট মেরে দেখি রাকিব উলঙ্গ অবস্থায় আমার গরুর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। সে আমাকে দেখে পিছন দিক দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তার পরনের কাপড় আমার গরুর সামনে রাখা ছিল। আমি চোর চোর বলে চিৎকার করি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে খুঁজে বের করে মারধর করেন।

রাকিবের পিতা আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছেলেকে চোর সন্দেহ করে তারা বেধড়ক মারধর করেছে। এখন সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এর বিচার চাই। আমার ছেলে জদি আপরাধ করে থাকে তাহলে দেশে আইন অনুযাই যে বিচার হয় তা মাতা পেতে নেব। কিন্তু বিনা দোষে কেনো আমার ছেলেকে মারধর করেছে। অপরাধ করলে থানা পুলিশ রয়েছে। তাকে মারধর করলো কেনো

এস আই মাহাবুব বলেন, আমরা ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনান্থল থেকে গিয়ে ছেলেটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। গরু চুরির ঘটনায় নাকি তাকে মারধরে করেছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo