চেয়ারম্যানের ড্রেজার দিয়ে জমি ভরাট,পানিতে কৃষি জমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আল আমিন প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৪:১২ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১৪:১২ পিএম
চেয়ারম্যানের ড্রেজার দিয়ে জমি ভরাট,পানিতে কৃষি জমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ড্রেজার দিয়ে নিজের জমি ভরাট করেছে।ভরাটকৃত জায়গার ড্রেজিংয়ের পানি পাশের কৃষি জমিতে প্রবাহিত হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বৌলতলী ইউনিয়নের মাদাইসুর গ্রামে সড়কের পাশে ড্রেজার বসিয়ে জমি ভরাট করা হচ্ছে।এতে পানি নেমে পাশের ফসলি জমি গুলো তলিয়ে যাচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ড্রেজার দিয়ে নিজের জমি ভরাট করেছে।ভরাটকৃত জায়গার ড্রেজিংয়ের পানি পাশের কৃষি জমিতে প্রবাহিত হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বৌলতলী ইউনিয়নের মাদাইসুর গ্রামে সড়কের পাশে ড্রেজার বসিয়ে জমি ভরাট করা হচ্ছে।এতে পানি নেমে পাশের ফসলি জমি গুলো তলিয়ে যাচ্ছে।

ফলে পাশের জমির চাষাবাদকৃত ভুট্টা ও আলুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।বৌলতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্যের উপস্থিতে এই জমি ভরাট করতে দেখা যায়।এবং জমি কার জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন,এটা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মালেক শিকদারের জমি।তিনি এই জমি কিনেছেন এবং ভরাট কাজও করছেন।পানি জমিতে পড়ায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচের কাজ করে দিচ্ছি।জমিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন জমিতে সমস্যা হয়নি।কিন্তু দেখা যায় ভুট্টা চাষি রিমা আক্তারের ৪৯শতাংশ জমিতে ভুট্টার আবাদ করা জমিটি পানিতে তলিয়ে গেছে।ভুট্টা চাষি রিমা আক্তার বলেন,আমার ৪৯ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ করেছি।সেখানে গত এক সপ্তাহ আগে চেয়ারম্যান মালেক শিকদারের ড্রেজারের পানিতে আমার জমির সকল ফসল তলিয়ে যায়।পরে চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।এরপর আজকে আবার তার জমিতে ড্রেজার বসিয়ে ভরাট করতে গেলে সেই পানি এসে আমার জমি তলিয়ে যায়।

পরপর ২বার আমার জমির ফসল তলিয়ে যায়।এই অবস্থায় আমার সকল ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।আমি ধারদেনা করে ফসল আবাদ করেছি।এখন আমার ফসল নষ্ট হলে আমি কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো?আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমার এই ক্ষয়ক্ষতির বিচার চাই।বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান ও জমি ভরাটকারী মালেক শিকদার বলেন, মাসিক আইনশৃংখলা মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে পঁচা পুকুর ভরাট করার অনুমতি আছে।আমি ইউএনও মহোদ্বয়ের অনুমতি নিয়েই আমার জমি ভারাট করছি।লৌহজং উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি)ইলিয়াস শিকদার সরেজমিনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,আমি সরেজমিনে এসে জমি ভরাটকারী চেয়ারম্যান মালেক শিকদারকে পাইনি।তাকে ফোন করলে তিনি জানান ঢাকা আছেন।কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মো:জাকির হোসেন বলেন,আমি বিষয়টি অবগত হয়ে এসিল্যান্ডকে সরেজমিনে পাঠিয়েছিলাম।কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।জমি ভরাট করার অনুমতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে আমার কারও সাথে কথা হয়নি।আমি কাউকে অনুমতি দেইনি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo