নীলফামারি জেলার চিলাহাটিতে বিউটি আক্তার নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে চিলাহাটি ভোগডাবুরী ইউনিয়ননের ৯ নং ওয়ার্ডের মুক্তিরহাট সাতঘড়িয়া পাড়ায়। জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী একই ওয়ার্ড এর আজিমুল ইসলামের মেয়ে বিউটি আক্তার (২২) সাথে ২০২০ সালে বিবাহ হয় সাতঘরিয়া পাড়া গ্রামের নাসির ইসলামের সাথে। দাম্পত্য জীবনে তাদের রয়েছে একটা চার বছরের পুত্র সন্তান।পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলতেছিলো। গত শুক্রবার নাসিরের বড় ভাবীর হাত পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যায়। ১৯ তারিখ (মঙ্গলবার) নাসির ইসলাম তার বড় সহ ভাইয়ের স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য রংপুর নিয়ে যায়। এবং ভাবির চিকিৎসা শেষে রাত্রি বেলা বাড়ি ফিরে। বাড়িতে আসলে তার স্ত্রী বিউটি আক্তার এর সাথে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয় বিউটি ও নাসিরের নিজ সয়ন ঘরে। প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে তাদের বাক-বিতম্বা কথা কাটাকাটি ঝগড়া এবং হাতাহাতির সময় তাদের ঘরের মধ্যে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। কিছুক্ষণ পর রাত আনুমানিক দশটা দশ মিনিটে বিউটি বেগমের বাবার বাড়িতে বিউটি বেগমের ভাই শরিফুল ইসলামকে নাসির ফোন করে জানিয়ে দেয় তোমার বোন আত্মহত্যা করেছে। ভাই শরিফুল ইসলাম তার এলাকা থেকে তিন চার জন লোক নিয়ে নাসিরের বাড়িতে এসে দেখে তার বোনকে বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় সে সময়ে নাসির ব্যতীত বাড়ির লোকজন সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল ইসলাম পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিলে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ঘটনার স্থলে উপস্থিত হয়ে বিউটির মরদেহ ও নাসিরকে গ্রেফতার করে ডোমার থানায় প্রেরণ করেন।উক্ত বিষয়ে সাংবাদিক শরিফ বিল্লাহ মৃত বিউটি বেগমের ভাই শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোনকে নাসির বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে আমাকে ফোন দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছে আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখলাম এবং বুঝতে পারলাম প্রকৃত অর্থে আমার বোনকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে এবং আশেপাশে যেন কেউ শব্দ শুনতে না পারে সেজন্য মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরেছিল। এ ব্যাপারে ডোমার থানায় আমরা একটি হত্যা মামলা করেছি।