চিকিৎসক হামলার ঘটনায় দুই জনকে ৩ দিনের রিমান্ড

ওমর ফারুক প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:৪৫ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৩:৪৫ পিএম
চিকিৎসক হামলার ঘটনায় দুই জনকে ৩ দিনের রিমান্ড
তার আগে এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সাত্তারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।কোর্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম জিলানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে আজ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসককে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আক্তার জাবেদ এ আদেশ দেন।

তার আগে এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সাত্তারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।কোর্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম জিলানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে আজ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামীরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোহাম্মদ সেলিম রেজার ছেলে তাহসিন মোহাম্মদ রেজা (২৫), তামিম মোহাম্মদ রেজা (২২)।পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন ডা. সজীব কাজী নামের এক চিকিৎসক। হামলার শিকার সজীব হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও সিসিইউতে কর্মরত ছিলেন। পরে বুধবার সজীব কাজি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সে মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনরা সিসিইউতে প্রবেশ করে প্রথমে চিকিৎসকের কক্ষ ভাঙচুর চালায়। পরে চিকিৎসক সজীবকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে টেনে-হেঁচড়ে মারতে মারতে চারতলা থেকে নিচে নামিয়েও মারধর করতে থাকে। এ সময় হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অন্য চিকিৎসকরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এরপরই হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে জরুরি বিভাগসহ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এরপর থেকে জরুরি বিভাগ ছাড়া সকল চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিলো।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo