নোয়াখালীর চাটখিলে গত ৫ই আগস্ট গুলিতে আহত ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ (২২) এর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন গতকাল সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। রিয়াজের বাবা স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য, মোঃ হাবিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পেশ করেন, লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তিনি এবং তার ছেলেরা বিএনপির নিবেদিত ও নির্যাতিত একটি পরিবার। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি এবং তার ছেলেরা রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
৫ই আগস্ট সরকার পতনের দিন বিকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় রিয়াজ। আহত রিয়াজ ৬ই আগস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় । হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে তার ছেলের লাশ তার নিকটে হস্তান্তর করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । জুলাই আন্দোলনে তার ছেলে শহীদ হয়। শহীদের তালিকায় তার ছেলের নাম তালিকাভুক্ত হয়। তিনি শহীদের বাবা দাবী করে বলেন, শহীদের বাবা হয়ে তিনি এই মিথ্যা অপপ্রচার কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
তিনি আরো বলেন, গত ২১জুন একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনাকে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এই মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই অপ্রপচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার বড় ছেলে মোঃ মিরাজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য রিয়াজের মৃত্যুর নয় মাস পর গত (২১ মে) তার বাবা হাবিবুর রহমান সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সহ ৫৭জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করার জন্য চাটখিল থানা কে নির্দেশ দেয়। আদালতে মামলার আবেদন পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হলে চাটখিলের সর্বত্র সমালোচনা ঝড় উঠে। অনেকেই বলেন, তার ছেলে থানার লুট হওয়া অস্ত্র বহন করতে গিয়ে আত্মঘাতী গুলিতে আহত হয়ে মারা যায়। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।