চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ২০২২ সালের প্রহেলা অক্টোবরে বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় কর্মসূচি পালনের সময় নেতাকর্মীদের উপর বর্বর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র, উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬৪জনকে নামীয় এবং ১৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ২০২২ সালের প্রহেলা অক্টোবরে বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় কর্মসূচি পালনের সময় নেতাকর্মীদের উপর বর্বর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র, উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬৪জনকে নামীয় এবং ১৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ফরিদঞ্জ আমলি আদালত) ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমরান হোসেন স্বপন বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে মামলাটি করেন । রাতে মামলার তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। তিনি বলেন, মামলাটি বিচারক আমলে নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানাকে তদন্তসহ পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী(৭৫), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার (৬৫), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদার (৪৬)। বাকী আসামীরাও ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়-২০২২ সালের ১ অক্টোবর বিকাল অনুমান ৪টার দিকে উপজেলার কালির বাজার রাস্তার মাথায় মোড়ের দক্ষিণ পাশে সিরাজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ঘোষিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচি পালন করছিলেন। ওই সময় ১নং আসামী খাজে আহমেদ মজুমদারসহ তার সহযোগী প্রায় দেড়শতাধিক লোক কর্মসূচি পালন করতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। একই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র এবং পিস্তল হাতে নিয়ে আতংক ও ভীতির সৃষ্টি করে। তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে। শুধু তাই নয়, ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে উদ্ধার হয়। মামলার বাদী এমরান হোসেন বলেন, আমার শান্তিপূর্ন ভাবে আমাদের কার্যালয়ে দলীয় কর্মসূচে পালন করছিলাম। হঠাৎ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্তে একদল সন্ত্রাসী দেশি-বিদেশি অস্র নিয়ে আমাদের উপর নির্মম হামলা চালায় এবং আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর বোমা নিক্ষেপ করে। তারা আমাদের উপর বহু নির্যাতন, হত্যা এবং –হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যে কারণে ওই সময় এই ঘটনায় মামলা করতে পারিনি। তবে এখন পরিবেশ অনুকুলে থাকায় মামলা করেছি। আমি এই মামলাটির ন্যয় বিচার দাবী করছি।