ভূমধ্যসাগর নৌকাডুবিতে মারা যাওয়ার ৭৮দিন পর দেশে ফিরলো ৮ যুবকের লাশ

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ৪ মে , ২০২৪ ০৬:৩৮ আপডেট: ৪ মে , ২০২৪ ০৬:৩৮ এএম
ভূমধ্যসাগর নৌকাডুবিতে মারা যাওয়ার ৭৮দিন পর দেশে ফিরলো ৮ যুবকের লাশ
অবশেষে গ্রামের বাড়ি পৌঁছালো তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশির মরদেহ। ভূমধ্যসাগর নৌকাডুবিতে মারা যাওয়ার ৭৮ দিন পরে বাড়িতে লাশ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। পরে লাশগুলো পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

অবশেষে গ্রামের বাড়ি পৌঁছালো তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশির মরদেহ। ভূমধ্যসাগর নৌকাডুবিতে মারা যাওয়ার ৭৮ দিন পরে বাড়িতে লাশ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। পরে লাশগুলো পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এতে একদিকে আদরের সন্তানদের হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবার,অন্যদিকে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে ক্ষুব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহত মামুন শেখের মা হাফিজা বেগমের এই বুকফাটা আর্তনাদ। এখন স্বজনদের আহাজারিতে ভারি চারপাশ। মামুনের লাশ বাড়িতে পৌঁছানোর পর সেই সাথে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরাও।

তিউনিসিয়া থেকে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স-এর একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে পৌঁছায় নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ। পরে সেখান থেকে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যার দিকে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয় ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বিমানবন্দর থানা পুলিশ। পরে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈরে ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। ধর্মীয়রীতি শেষে নিহতদের দাফন করা হয়েছে নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে।

স্বজনরা জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাজৈর ও মুকসুদপুরের কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।প্রথমে তারা বিমানযোগে লিবিয়া, পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া থেকে দালালদের মাধ্যমে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় তারা। মাঝপথে তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগর ইঞ্জিন ফেটে আগুন ধরে ডুবে যায় নৌকাটি। এতে রাজৈরের কোদালিয়ার সজীব কাজী, পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ, সেনদিয়ার সজল বৈরাগী, কদমবাড়ির নয়ন বিশ ও কেশরদিয়া গ্রামের কাওসার ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের রিফাদ, রাসেল ও আপনের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ, ৮ বাংলাদেশি ছাড়াও এই দুর্ঘটনায় এক পাকিস্তানি নাগরিকও মারা যায়। কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারে স্থানীয় কোস্টগার্ড।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo